নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিভাগ থাকছে না

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিভাগ থাকছে না। ফলে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাজনও থাকবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সোমবার (২৩ অক্টোবর) এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে দেওয়া চিঠিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন না থাকার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা জারির প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।

উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী সিলেবাস নির্ধারণ করবে এনসিটিবি।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলো।

এনায়েতনগরের শাহজাহান মেম্বারের পক্ষ থেকে মাসদাইরের পুজামণ্ডপে উপহার সামগ্রী বিতরন

এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহজাহান মেম্বার এর উদ্যোগে এনায়েতনগর এর বিভিন্ন পুজামণ্ডপে উপহার সামগ্রী এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড এর পক্ষে থেকে আজকে এনায়েতনগর ইউনিয়ন এর বেশ কিছু পূজা মন্ডপে শতাধিক হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

হাজী শাহজাহান মেম্বার অসুস্থ থাকায় তার ছেলে আরাফাত বাড়ৈভোগ পুজা মন্ডপ,আওয়ামী লীগ নেতা শ্রী রঞ্জিত মন্ডল এর বাসার পুজা মন্ডপ ও এনায়েতনগর পুজা মন্ডপে একই ভাবে দুস্ত দের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করেন

না.গঞ্জে বিএনপির এমপি প্রত্যাশী প্রার্থীর বাড়িতে পুলিশের অভিযান

নারায়ণগঞ্জ ২ (আড়াইহাজার) আসনের বিএনপির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভিন আক্তারের বাড়ীতে থানা পুলিশের ব্যাপক তল্লাশী করেছে। এই সময় তাকে ও তার স্বামী জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বি.আর.ডিবি র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অনুকে গ্রেফতারের চেস্টা করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে পারভিন আক্তার জানান, রাত ২টার দিকে পুলিশ আমাকে ও আমার স্বামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ব্যাপক তল্লাশী করে। অথচ আমার স্বামী মহামান্য হাইকোর্টের পুলিশ প্রটেকশনে আছেন। ঘটনার সময় আমরা কেউ বাড়ীতে ছিলাম না। এই ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান। তিনি আরো বলেন, পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।

অপর দিকে পুলিশ উপজেলার মনোহরদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে উপজেলা তাতী দলের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক সামসুল ইসলামকে (৫৫) করেছে।

কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, বহু হতাহতের শঙ্কা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেন এগারসিন্ধুকে একটি মালবাহী ট্রেন পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যাত্রীবাহী ট্রেনটির পিছনের কয়েকটা বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক যাত্রী ট্রেনের নিচে আটকা পড়েছে।

আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে ভৈরব স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সিরাজ-উদ-দৌলা খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোতে অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

রেলওয়ের দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ঢাকা থেকে একটি কনটেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেলক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কনটেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। মূলত সিগনালিংয়ের জটিলতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা।

সাইনবোর্ডে ফিল্মি স্টাইলে ছিনতাই

জেলার ব্যস্ততম সড়ক সাইনবোর্ডে ফিল্মি স্টাইলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

ছিনতাইয়ের শিকার খন্দকার তানজিম আহমেদ জানান,আমার বাসা জালকুড়ি দেলপারা তে।আমি মেঘনা গ্রুপ অব কোমপানির সিনিয়র এস ও হিসাবে কর্মরত আছি।কোম্পানির সকল লেনদেন আমি সাইনবোর্ড শাখার ডাচ বাংলা ব্যাংক এর মাধ্যমে করে থাকি।আগামী কালকে ব্যাংক বন্ধ হওয়ার কারণ এ আজকে আমি কোম্পানি তে অনলাইন দেওয়ার জন্য ৫ লাখ ৭ হাজার টাকা একটা শপিং ব্যাগ এ করে জালকুড়ি থেকে রিকশা যোগ এ সাইনবোর্ড এর উদ্দেশ্য রওনা করি।পথের মধ্যে ভূইঘর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বন্ধ থাকা শিকদার পাম্প এর কাছে গেলে তিন জন মোটর সাইকেল আরোহি আমার পথ গতিরোধ করে। তার পর অনেক জোরাজোরির পর এ অস্ত্র এর মাধ্যমে জিম্মি করে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে তিনি থানায় যোগাযোগ করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

না.গঞ্জে সড়ক দুর্ঘনায় মোটর সাইকেল আরোহী নিহত

জেলার বন্দরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটর সাইকেল আরোহী তাহাসান রশিদ নাহিন (২০) নিহত ও তার বন্ধু জিসান আহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে নিহতের চাচা মনির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত চালককে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৪(১০)২৩ ধারা-৯৮/১০৫ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮। এর আগে গত শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টায় বন্দর উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ ব্রীজের মাঝখানে ওই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোটর সাইকেল আরোহী তাহাসান রশিদ নাহিন ঢাকার বংশাল থানার সিক্কাটুলী এলাকার আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। আহত মোটর সাইকেল আরোহী জিসান একই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে। সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল এসে র্দূঘটনা কবলিত স্থান থেকে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার পর থেকে ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।

মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, মামলার বাদী ভাতিজা তাহাসান রশিদ নাহিন ও তার বন্ধু একই এলাকার জিসান গত শুক্রবার রাতে ঢাকা মেট্রো ল ৩৯-৫৬০৫ নাম্বারের একটি মোটর সাইকেল যোগে নোয়াখালী জেলা থেকে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে রাত পৌনে ১০টার সময় তাদের বহনকৃত মোটর সাইকেলটি বন্দর উপজেলার ঢাকা -চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্ধ ব্রীজের মাঝখানে আসলে ওই সময় অজ্ঞাত নামা গাড়ী চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালিয়ে উল্লেখিত মোটর সাইকেলটিকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে ওই সময় দুই বন্ধু মোটর সাইকেল থেকে ছিটকে পরে ওই সময় তাহাসান রশিদ নাহিন অজ্ঞাত গাড়ী চাপায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয় এবং তার সাথে থাকা বন্ধু জিসান মারাত্মক ভাবে আহত হয়।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করলে হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ আবেদন গ্রহন করে বিনা ময়না তদন্তে লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।

মন্ডপ খালি থাকা অবস্থায় সতর্ক থাকবেন : আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, যখন মন্ডপে পূজারীরা থাকে তখন কোন দুষ্কৃতকারীরা কোন অঘটন ঘটানোর সাহস পায় না। যখন দেখা যায় কেউ থাকে না তখন সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য কিছু চক্রান্তকারী লোকজন অঘটন ঘটানের চেষ্টা করে।

গতকাল শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে শহরের আমলাপাড়ায় শারদীয় দুর্গা পূজাকে ঘিরে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন কালে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পুলিশ আনসার আছে। আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে থাকি। বিশেষ করে এই সময়টাতে সতর্কতার বিষয়ে আমরা কোন আপোষ করবো না। যে সময়ে কোন দুষ্কৃতকারী পাওয়া যায় তাকে ধরে ফেলবেন। তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে ধরতে না পারলেও ওকে চিনে রাখবেন যেন পরবর্তীতে ধরতে পারি।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নিদর্শন আপনারা স্থাপন করেছেন। এ ধারাবাহিকতা এখানে বজায় থাকবে এবং শারদীয় দুর্গা পূজা চলবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

না.গঞ্জে ৯ দিনের ব্যবধানে ৮ বাড়িতে ডাকাতি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রায় প্রতি রাতেই কোন না কোন বাসা বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

গত ৯ অক্টোবর থেকে ১৭ আক্টোবর পর্যন্ত এই সকল ডাকাতির ঘটনা গুলো ঘটে। গত ৯ দিনের ব্যবধানে ৮ বাড়িতে ডাকাতদল হানা দিয়ে লুটে নিয়েছে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। পুলিশ এ ঘটনায় ২ আটক ও জনতা ৪ ডাকাতকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এতে এ নিয়ে উপজেলার সর্বত্র ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেশ কিছু গ্রামে পাহাড়া বসিয়েছে স্থানীয় লোকজন। তাতেও রেহাই পাচ্ছে না।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে ১৫/২০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল পাচঁগাও মোল্লাপাড়া খোকন মুন্সির বাড়িতে হানা দেয়। তার মেইন গেইটের তালা কেটে রুমের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৭ হাজার টাকা ও ১৫ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণের অলঙ্কার লুটে নেয়। একই রাত ৩ টার সময় প্রভাকরদী এলাকার ইকবাল হোসেনের বাড়িতে একই কায়দায় হানা দিয়ে ডাকাত দল রুমের ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা ৪ লক্ষ টাকা ও সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।

গত ১২ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে ১০/১৫ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল সালমদী নয়াপাড়া গ্রামের বেসরকারী চাকুরীজীবি রিপনের বাড়ীতে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তার মা সেতেরা বেগমকে পিটিয়ে গলায় ছুরি ধরে নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নয়। এই রাতে ১০/১২ জনের অপর একটি ডাকাত দল একই রাতে ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের নরিংদী গ্রামে নুর আলম সিকদারের বাড়ীতে হানা দিয়ে তার স্বজন হোসনাকে পিটিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাত দল মনোহরদী বাজারের সংলগ্ন অটো চালক মাসকুরের বাড়ীতে হানা দিয়ে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। এর আগে গত ৯ অক্টোবর রাত পৌনে একটার দিকে ব্রাহ্মন্দী ডহর মারুয়াদী গ্রামের ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে ৮/১০ জনের মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাতদল হানা দেয়। তার টিনশেড বিল্ডিং এর জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল লুটে নেয়। একই রাত দেড়টার দিকে পার্শ্ববর্তী দিঘলদী গ্রামের ব্যবসায়ী রিয়াজ হোসেনের বাড়িতে ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাদল হানা দেয়। ডাকাতদল বাড়ির কেচি গেইটের তালা ভেঙ্গে রুমের ভিতর প্রবেশ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রিয়াজ হোসেনসহ করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হাত পা বেঁধে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, তিনটি মোবাইল সেটসহ মূল্যবান আসবাবপত্র লুটে নেয়। একই রাত ৩ টার দিকে বড় মনোহরদী গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের বাড়িতে একই কায়দায় ১০/১২ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল রুমের ভিতর প্রবেশ করে নগদ ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং দুই ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।

এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, এ সকল ঘটনায় একটি ডাকাতি ও একটি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা হয়েছে। ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ফতুল্লায় আগুন নিভাতে যাওয়ার পথে খাদে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আগুন নেভাতে যাওয়ার সময় পথে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে।

আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফতুল্লার পাগলা নৌবাহিনী ক্যাম্পের বিপরীতের খাদে বিসিক ফায়ার স্টেশনের অগ্নি নির্বাপক গাড়িটি পড়ে যায়।

এ সময় স্টেশন অফিসার সুমন গুরুতর আহত হয়। ওই গাড়ির চালকসহ অন্যান্য কর্মীরা কোনোমতে প্রাণে রক্ষা পায়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হারেস সিকদার জানান, পাগলা তালতলা এলাকায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে বিসিক ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সেখানে আগুন নিভাতে যাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের নিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় স্টেশন অফিসার সুমন আহত হয়। চালকসহ অন্যরা গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে রক্ষা পায়। এরপর তারাই স্টেশন অফিসারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গাড়িটি কয়েকটি পল্টি খেয়ে খাদের পানিতে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

ফতুল্লার বিসিক স্টেশনের ফায়ার ফাইটার এহসানুল হক জানান, স্টেশন অফিসার আহত হয়েছে তাকে শহরের খানপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত। খাদে পড়ে যাওয়া গাড়িটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

ফতুল্লায় মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে এসে হামলার শিকার কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের ৩ কর্মকর্তাসহ ৭ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকায় এঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদা পোষাকে একজন নারীসহ ৬/৭জন লোক মুসলিমনগর এলাকার মৃত. চাঁন মিয়ার ছেলে শাকিলের বাসায় যায়। তখন শাকিল চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে ঘটনা জানতে চায়। ওইসময় শাকিল বলেন তার মুখে এসিড নিক্ষেপ করেছে। এতে স্থানীয় লোকজন ফুসে উঠে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে একজনকে মারধর করেন। পরে স্থানীয় লোকজন জানতে পারেন তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কর্মকর্তা।

এবিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপ-পরিদর্শক ফয়েজ আহমেদ জানান, আমরা কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ৭জন মুসলিমনগর সড়ক দিয়ে একটি মাদক বিরোধী অভিযানে যাচ্ছিলাম। এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের গাড়ি দেখে একজন ছেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন শাকিল নামে একজনকে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে ৪৪ পিছ ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময় তার বাড়িতে আরো মাদক আছে কিনা দেখার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইসময় শাকিলকে ছাড়িয়ে নিতে তার লোকজন এসে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের একজন কর্মচারী আহত হয় এবং শাকিলও আহত হয়। তবে তার মুখে আমরা কেউ কিছুই ছিটিয়ে দেয়নি। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম জানান, খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের গাড়িসহ ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকে আহত অবস্থায় শাকিল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।মাদক ব্যবসায়ী শাকিল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক মামলা রয়েছে।

বিএনপির একদফার সমাবেশে কাজী মাসুমের বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান

বিএনপির এক দফা দাবীতে ঢাকার পল্টনে মহাসমাবেশে রূপগঞ্জ তারাবো পৌরসভা বিএনপির সহসভাপতি কাজী মাসুম এর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে যোগ দেন

গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) সরকার পতনের এক দফা দাবীতে ঢাকার পল্টনে বি এন পির মহাসমাবেশে রূপগঞ্জ থানার তারাবো পৌরসভা বি এন পির সহসভাপতি কাজী মাসুম এর নেতৃত্বেে বিশাল মিছিল যোগ দেন। দুপুর পর থেকে খন্ড খন্ড মিছিল এসে ঢাকার নটরডেম কলেজের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে এবং নেতা কর্মীদের টি শাট ও মাথায় ফিতা বেঁধে দেয়া হয়। ২ টার পর বিশাল মিছিলটি তীব্র শ্লোগান তুলে পল্টনের সমাবেশের দিকে রওনা হন। শ্লোগান ছিলো এক দফা এক দাবি হাসিনা তুই কবে যাবি। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে. বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই দিতে হবে. এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে -তারেক জিয়ার ভয় নাই রাজ পথ ছাড়ি নাই দেশ গড়েছেন শহীদ জিয়া নেত্রী মোদের খালেদা জিয়া।

রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে পুলিশের তল্লাশি

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। কেন্দ্র ঘোষিত ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির এক দফা দাবির সমাবেশকে ঘিরে তল্লাশি চৌকি থাকলেও পুলিশ বলছে নিয়মিত ধারাবাহিক অভিযান।

আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক ও সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক পয়েন্টে ২৫ জন, সাইনবোর্ড পয়েন্টে ৬০ জন, সোনারগাঁয়ের কাচঁপুর পয়েন্টে ৬০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই চেকপোস্টগুলোতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা যাত্রী ও চালকরা কে, কোথায় যাচ্ছে তা জানতে চান। বাসে যাত্রীদের ব্যাগ, ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতর ও পেছনে ব্যাকডালা তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে কোনো পয়েন্টেই তল্লাশি চালিয়ে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। এ সময় কোনো যানবাহনকে দীর্ঘক্ষণ থামিয়ে রাখা কিংবা কোনো যাত্রীকে নামিয়ে দিতে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) গোলাম মোস্তফা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি যানবাহনে বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করছে কি না সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের এ ধরনের তল্লাশি চলবে।

অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বাসে বাসে তল্লাশি আমাদের নিয়মিত অভিযানের একটা অংশ। কক্সবাজার থেকে বিভিন্ন সময় মাদকের বড় চালান আসে। এমন কোন ইনফরমেশন থাকলেই মূলত আমরা ওই অভিযান চালাই।

না.গঞ্জে বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২০জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা।

এদিকে বিএনপি নেতাদের দাবী, ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করেই পুলিশের এই গ্রেপ্তার অভযান চালাচ্ছে। যাতে নেতাকর্মীরা ভয়ে সমাবেশ অংশ নিতে না পারে।

অন্যদিকে পুলিশ বলছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় আটক করা হয়েছে। যাদের জামিন আছে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। যদিও আটককৃত নেতাকর্মীদের নাম এখনো জানা যায়নি।

এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘আমাদের ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিসহ মহানগরের ১০জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

আটকের বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা জানান, ‘আমরা ২০জনকে আটক করেছি। তাদের মামলার যাচাই বাছাই চলছে। যাদের জামিন আছে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা রেয়েছে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।’

না.গঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

জেলার বন্দরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।

গত ১৬ অক্টোবর (সোমবার) দিবাগত রাত ৯টায় থানার ২২নং ওয়ার্ডের র‌্যালী আবাসিক এলাকার হুমায়ুন আজাদ মিয়ার ৫ তলা ভবনের ৪ তলা ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যার এ ঘটনাটি ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

নিহতরা হচ্ছেন পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকার আবুল হোসেনের সৌদি ফেরত ছেলে কাওসার (৩২) ও তাঁর স্ত্রী শরীয়তপুর জেলার চর আন্দির চর চান্দের বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ঝর্ণা আক্তার (১৮)।

ঝর্ণা তার ভাই রায়হানের ভাড়া বাসায় বন্দরের র‌্যালী আবাসিক এলাকার হুমায়ুন আজাদ মিয়ার বাড়িতে থেকেই বন্দর গার্লস স্কুলে ৯ শ্রেণিতে পড়তো।

মেয়ের স্বজনদের সূত্র জানায়, কাওসারের পূর্বে আরও একজন স্ত্রী রয়েছে। সেই সংসারে ৮ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি সে বিদেশে থাকা অবস্থায় ঝর্ণার সাথে ফেইসবুকে পরিচয় ঘটে। তখন থেকেই তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা সম্পর্ক শুরু হয়। কাওসার নিজেকে অবিবাহিত হিসেবে মেয়ের কাছে উপস্থাপন করেন। দেশে আসার পর উভয়ের মধ্যে একাধিকবার দেখা সাক্ষাৎ হয়।

বিষয়টি কাওসারের প্রথম স্ত্রীসহ ঝর্ণার পরিবারের মাঝে জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক আপত্তি করে। এ নিয়ে কাওসারের প্রথম স্ত্রী মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় বেশ কিছু দিন জেল খাটে কাওসার। জেল থেকে বের হয়েও সকল বাধা উপেক্ষা করে কাওসার আবেগেরবশীভূত হয়ে ঝর্ণার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখা। এমনকি এক পর্যায়ে প্রায় মাস খানেক পূর্বে সকলের অজান্তে তাঁরা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।

এ ঘটনায় ঝর্ণার পরিবারের পক্ষ থেকে কাওসারের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কাওসার প্রায় ১৪ দিন জেল খেটে বের হলে ঝর্ণার পরিবারের সঙ্গে কাওসারের পরিবারের সমঝোতা হলে তারা উভয়ই সামাজিকভাবে বিয়ে করেন।

১৬ অক্টোবর সোমবার রাত আনুমানিক ৯টায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায় ঝর্ণা ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করে। কাওসার দরজায় বার বার ধাক্কা দিলেও অপর প্রান্ত থেকে দরজা না খোলায় বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কাওসারও পাশের রুমে থাকা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের হুকের সঙ্গে বেঁধে আত্মহত্যা করে।

খবর পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রেজাউল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে উভয়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

প্রবাসীর স্ত্রীকে দেড় বছর ধরে ধর্ষনের অভিযোগ পুলিশের এসআই এর বিরুদ্ধে

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মিজানুর রহমান ফারুক (৫৪) নামের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (১৬ অক্টোবর) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলাটি করেন ভুক্তভোগী নারী।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী আফজালুল করিম।

আসামি মিজানুর রহমান ফারুক বরিশাল নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের এ আর খান সড়কের বাসিন্দা।

মামলার বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির জানান, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। তার বন্ধু এসআই ফারুক। নগরীর এ আর খান সড়কে ৯ শতাংশ জমি কিনতে এসআই ফারুককে ৪৫ লাখ টাকা দেন প্রবাসীর স্ত্রী। কিন্তু জমির দলিল না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন ফারুক। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেন।

২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই নারী নগরীর এ আর খান সড়কে তার ভাইয়ের নির্মাণাধীন ভবনে যান। এ সময় এসআই ফারুক সেখানে গিয়ে তাকে ধর্ষণ এবং নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে সেগুলো স্বামী ও স্বজনদের কাছে পাঠানো ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনারের (প্রোটেকশন বিভাগ) কাছেও লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে শেষে আদালতে নালিশি মামলা করেন এক সন্তানের জননী।

ফতুল্লায় কাগজের ব্যাগ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লায় কাগজের ব্যাগের ভিতর থেকে নবজাতক ছেলে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার (১৪ অক্টোবর) রাতে ফতুল্লার শান্তিধারা এলাকার সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, শান্তিধারা এলাকায় অবস্থিত পিবিআই অফিসের বিপরীত দিকের সড়কের পাশে এক দিন বয়সের নবজাতক ছেলে শিশুর লাশ কাগজের কার্টনের ভিতরে কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে শিশুর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

বিয়ের কথা গোপন করায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে বাড়ি ছেড়ে পালালেন স্ত্রী

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ কেটে পালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রথম স্ত্রী হামিদা বেগমের বিরুদ্ধে। পরে স্বামী হায়দার আলীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।

গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ইদ্রিস খানের নিজবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হায়দার আলী শিক্ষকতা ও ইমামতি করতেন। তিনি ওই পেশা ছেড়ে ঢাকায় রেলওয়েতে চাকরি নেন। সেখানে প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কলহ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে হায়দার আলী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। রাতে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামীকে পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে রাতে তার পুরুষাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে পালিয়ে যান স্ত্রী হামিদা বেগম। রাতেই পরিবারের সদস্যরা প্রথমে হায়দার আলীকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীম আল রাজী জানান, তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, ঘটনার পর থেকেই প্রথম স্ত্রী হামিদা পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তার মা-ভাইকে এরই মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সেই ইমামকে ‘স্যরি’ বলে কোলাকুলি ইউএনওর

কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপম ভুক্তভোগী সেই ইমামের কাছে দু:খ প্রকাশ করেছেন।

গতকাল রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমানের মধ্যস্থতায় ইউএনও ও ইমামের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের মীমাংসা করে দেওয়া হয়।

এ সময় ভুক্তভোগী ইমাম মাওলানা আবুল বাসার, ইউএনও ফোরকান এলাহী অনুপম এবং শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলা ইমাম সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া।

তিনি বলেন, সামান্য একটা ঘটনাকে খুব বড় করে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ইউএনও এবং ইমামের মাঝে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। উভয়পক্ষের কথা শুনে যতটুকু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তা মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে।

শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার বলেন, গণমাধ্যমের শক্ত অবস্থানের কারণে এমন একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে। ইউএনও ইমামের কাছে দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। ইমাম আবুল বাসারও লালামাইয়ের ইউএনও মহোদয়কে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

ইমামের চাকরি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউএনওকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। তিনি চাকরি নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে ইমাম সাহেবকে পানিতে চুবানোর কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের সময় কাতার সোজা করতে লালমাই উপজেলার ভাটরা কাছারী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল বাসার ইউএনও ফোরকান এলাহী অনুপমকে গায়ে হাত দিয়ে সরিয়ে কাতার সোজা করেন। পরে নামাজ থেকে বের হয়ে ইমাম জানতে পারেন যে তিনি লালমাই উপজেলার ইউএনও।

বিষয়টি জেনে তিনি ইউএনও ফোরকান এলাহী অনুপমকে বলেন, ‘স্যার আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। ক্ষমা করে দেন’।

এতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনি কত বড় ইমাম হয়েছেন তা এখনই বুঝবেন। আপনাকে এখন পানিতে চুবাবো। আপনার ইন্টারভিউ হবে, আপনি কীভাবে ইমাম হলেন তা জানবো ইত্যাদি বলে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ বলেন আপনার আর নামাজ পড়ানোর দরকার নেই। এখন থেকে এই মসজিদে আপনার চাকরি নেই।

পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হলে, পরদিন শনিবার (১৪ অক্টোবর) দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। পরে রোববার (১৫ অক্টোবর) সারা দিন মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপনে থাকেন ইমাম মাওলানা আবুল বাসার।

চাষাড়ায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

কেন্দ্রীয় সংগঠন ঘোষিত কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ আটককৃত সকল নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নগরীর প্রানকেন্দ্র চাষাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর।

আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) চাষাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখা।

মিছিলে নেতৃত্ব প্রদান করেন মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো: জামাল হোসেন।

বিক্ষোভ মিছিল উত্তর সমাবেশে মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি জামাল হোসেন বলেন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারসহ সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা প্রদান করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ার নতুন রাস্তা থেকে শুরু হয়ে চানমারী দরগাহ মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মহানগরীর শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন -এর সঞ্চালনায় ওই বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ রিদওয়ান, আবু তালহা, কফিল আহমেদ, মাহবুবুল আলম, ডাক্তার নুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, এস তালুকদার, আবুল কালাম, ফজলুল হাই জাফরী, মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, মুন্সি আব্দুস সালাম, মাহবুবুর রহমান, খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবনতি,আবারও সিসিইউতে স্থানান্তর

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। তিনি আগে থেকেই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এর আগে গত সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. এস এম সিদ্দিকী বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার পেটে ও বুকে পানি জমেছে। সেই পানি ঝরছে। লিভার জীবাণু আক্রান্ত হয়ে গেছে। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আর বাসায় নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাকে এখন আমাদের উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। তিনি মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে আছেন। খালেদা জিয়ার ভালো চিকিৎসার এখনো সুযোগ আছে, সেটা দেশের বাইরে। খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতেই হবে। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া দরকার।

৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

সবশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তিনি এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।