২ নং রেলগেইট এলাকায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশের আরেক মামলা

শেয়ার করুণ

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

এজাহারে নাম উল্লেখ করা ৭১ আসামীর তালিকায় রয়েছেন, জেলা বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সেক্রেটারী আব্দুর সবুর সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল আল ইউসুফ খান টিপু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, বিএনপি নেতা হাসান আহমেদ, যুবদল নেতা জাহিদ হাসান রোজেল, মশিউর রহমান রনি, মাজাহারুল ইসলাম জোসেফ, একরামুল কবির মামুন, আমিনুল ইসলাম মিঠু, সাইফুল ইসলাম বিপ্লব,আজহারুল ইসলাম ওরফে মান্নান সহ আরও অনেকে।

আজ শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশের উপর হামলা, পুলিশ বক্স ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আটক ১০ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিকালে তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, পুলিশের উপর হামলা, ভাংচুর, কাজে বাধার অভিযোগে এনে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় আরও আটশ থেকে নয়শ জনকে আসামি করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের ভাই বাদী হয়ে ৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সকল আসামী অজ্ঞাত।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি র‌্যালি বের করলে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। এতে সৃষ্ট সংঘর্ষে শাওন আহমেদ রাজা নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে ১৪ পুলিশ সদস্য আহত হন।

নিউজটি শেয়ার করুণ