মাসদাইরে তারেক রহমানের ঈদ উপহার পেল আ.লীগ নেতা মোখলেসের পরিবার

শেয়ার করুণ

২০১৫ সালে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইরে খুন হয়েছিলেন ৩নং ওয়ার্ড বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মোকলেসুর রহমান। সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও এ পরিবারের হাতেই তুলে দেয়া হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল নিজে উপস্থিত থেকে মোকলেসের স্ত্রীর হাতে তুলে দেন সেই উপহার।এমন ঘটনায় পুরো জেলা জুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে।

তবে ঘটনাটি কেন্দ্রীয় নেতারা কিংবা থানা বিএনপির নেতারা আগে থেকে অবগত ছিলেন না বলে জানান থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগের তীর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির দিকে। কারন মোকলেসুর রহমান তার আপন বোন জামাই।

২০২০ সাল থেকেই রনি এই পরিবারের হাতে বিএনপির ঈদ উপহার তুলে দিয়ে আসছেন। চলতি বছরও এর ব্যতিক্রম করেননি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঈদ উপহার কেন্দ্রীয় নেতার হাত দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেই মন্তব্য করেন তারা।

সারা দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে বন্দি, গুম-খুনের শিকার হওয়া দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে ঈদ উপহার পাঠানো হয় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে। ঈদের আগে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীদের বাড়িতে এ উপহার পাঠানো হয়।

তবে ফতুল্লা থানার এনায়েতনগরে ঈদের পরদিন এসেছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। সেদিন তিনি আমতলা এলাকার নিহত যুবদল নেতা কাউছারের পরিবারের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন।

এরপর মাসদাইরে এসে সংক্ষিপ্ত এক সভা শেষে আরও কয়েক নেতাকর্মীর পরিবারের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিয়েছিলেন। সে তালিকায় বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ৩ নং ওয়ার্ড এর সভাপতি নিহত মোকলেসের পরিবারের নামও ছিল। মোকলেসের স্ত্রী রোজিনা সেই উপহার গ্রহণ করেন। এ সময় জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেলও উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির একাধিক নেতাকর্মীর অভিযোগ, আমরা এ ঘটনায় বিব্রত। কি করে আমাদের নেতা তারেক রহমান সৈনিক লীগের প্রয়াত নেতার পরিবারকে ঈদ উপহার সামগ্রী পাঠায় তা আমাদের বোধগম্য নয়।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি এককভাবে এ লিষ্ট করে দলকে অবমাননা করেছেন। তারেক রহমানকে অপমান করেছে। বিতর্কিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-উন-নবী সোহেলকে। যে দলটি প্রতিনিয়ত আমাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে, সেই দলের একজন ওয়ার্ড সভাপতির পরিবারের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেয়া মানে বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সাথে নির্মম রসিকতা করা।

আমরা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ। আশাকরি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে রনির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নয়তো দলের জন্য জীবন দেয়া নেতাকর্মীদের আত্মা শান্তি পাবে না।

সূত্রঃ নারায়ণগঞ্জ টাইমস

নিউজটি শেয়ার করুণ