না.গঞ্জ সহ সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ বৃহস্পতিবার

শেয়ার করুণ

খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের সব মহানগর (ঢাকা ব্যাতিত) ও জেলা সদরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

২৩ মে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে আগামী ২৬ মে (বৃহস্পতিবার) ঢাকা ব্যতিত সকল মহানগর ও জেলা সদরে বিএনপি এবং সকল অঙ্গ-সংগঠন যৌথভাবে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত করবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ড. ইউনুসসহ দেশের সিনিয়র সিটিজেনদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বৈঠকে বলা হয়- আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির শামিল। অনির্বাচিত সরকারের সরকার প্রধান হিসাবে এই মন্তব্য অত্যন্ত বিপদ জনক এই কারণে যে, নির্বাহী বিভাগের প্রধান যখন পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন তখন তা হত্যার নির্দেশের পর্যায়ে পড়ে।

‘বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. ইউনুসকেও একই ধরনের হুমকি দেন যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ। বৈঠক এই উক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।’’

বৈঠকে বৃহত্তর সিলেট জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় বন্যা দূর্গত জনগণের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা জানিয়ে ফখরুল বলেন, দুর্গত এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা একেবারেই অপ্রতুল হওয়ায় বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। একদিকে যখন বন্যা দুর্গত মানুষেরা ত্রাণের জন্য আহাজারি করছে সেই সময়ে মন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণের সময় সাহায্য প্রার্থী হাজারো মানুষের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

‘বন্যার্ত মানুষের উপরে এই আক্রমণ আওয়ামী লীগের স্বভাবজাত অমানবিক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিফলন। অবিলম্বে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।’

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুণ