গত ৯ মাসের মধ্যে ২২ মার্চ নারায়ণগঞ্জে সর্বোচ্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সেই ২২ মার্চই আবার নষ্ট হয়েছে খানপুরের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার মেশিন পিসিআর ল্যাব।
সোমবার খানপুর ৩‘শ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। এ অবস্থায় করোনার ভয়াবহতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।
গত ২০ মার্চ খানপুরের হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষা করতে আসা ৩২ জন রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ২১ মার্চ আক্রান্ত হয় আরও ৪৪ জন। যা ২২ মার্চ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ জনে। যা গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ|

এ অবস্থায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই হাসপাতালের ল্যাবের এয়ার কন্ডিশনার (এসি)টি কয়েক দিন যাবত নষ্ট ছিল। অতিরিক্ত গরম থেকে খানপুরের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার মেশিন পিসিআর ল্যাবও ২২ মার্চ নষ্ট হতে পারে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ইলেক্ট্রিক বিভাগের গাফলতির বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এসি নষ্টের কারণে পিসিআর মেশিন নষ্টের ব্যাপারটি অস্বীকার করে খানপুর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাসার জানান, টানা ১ বছর যাবত নারায়ণগঞ্জের এই পিসিআর ল্যাবটি দিয়ে করোনা পরীক্ষ করিয়ে আসছি। আজ হঠাৎ করেই মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই আজকের সংগ্রহ করা নমুনা রূপগঞ্জের গাজী ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, জরুরী পরিস্থিতি ও পিসিয়ার মেশিন অচলাবস্থ্যার কথা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন প্রফ. নাসিমা সুলতানা স্যারকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি জরুরী বিবেচনায় অন্যত্র বরাদ্ধকৃত একটি পিসিয়ার মেশিন এর বরাদ্ধ বাতিল করে নারায়ণগঞ্জ এর জন্য জরুরী বরাদ্দ প্রদান করেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল আইইডিসিআর হতে মেশিনটি আমরা সংগ্রহ করতে পারব।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, আমরা ভাবতেও পারিনি এক দিনের মধ্যেই পিসিয়ার মেশিন ব্যবস্থা করতে পারবো। অন্য স্থানের জন্য বরাদ্দ করা একটি মেশিন আমাদের দেওয়া হচ্ছে, আর এই মেশিনটি ঠিক করতে নেওয়া হবে। এ পর্যন্ত সারাদেশে ১২টি মেশিন নষ্ট হয়েছে। আমাদের মেশিনটি নিয়ে ১৩টি হলো।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ কোভিড-১৯ হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পিসিআর মেশিন এসে পৌঁছে ছিল ৩০ এপ্রিল। তারপর থেকে মাত্র ২দিন পরীক্ষা বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে।
সূত্রঃ লাইভ নারায়ণগঞ্জ