২০০৪ সালের একুশে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে একজন হলেন শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল। তিনি নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্রস ফায়ারে নিহত মমিনউল্লাহ ডেভিড ও পরিবহন সন্ত্রাসী মাহবুব উল্লাহ তপনের ছোট ভাই।
গ্রেনেড হামলা মামলায় জুয়েল চার্জশিটভুক্ত আসামি। তিনি নিজেও নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন।
একই সঙ্গে তিনি ২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে সংঘঠিত বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ার মামলার ১২ নাম্বার আসামি।

২০০৭ সালের ২৭ নভেম্বর শহরের ৯/১, মিশনপাড়ার বাসভবন থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১।
চাষাড়া বোমা হামলা ছাড়াও জুয়েলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রমনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি জুয়েল বর্তমানে কারাগারে বন্দি। তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সময়ের আহবায়ক ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, বড় দুই ভাইয়ের বদৌলতে বিগত ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ দাবড়িয়ে বেড়িয়েছেন জুয়েল। তার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর এখন পর্যন্ত জুয়েলকে বেশ কয়েকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। রিমান্ডে থাকাকালে জুয়েল ২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুজ্জামান জিলানীর কাছে স্ব হস্তে এক পাতায় লিখিত জবানবন্দিতে বলেন, “বোমা হামলার ঘটনায় মুফতি হান্নান, ভারতের দিল্লীতে কারাবন্দি আনিসুল মোরসালিন ও মুহিবুল মুত্তাকিন, হুজির সামরিক কমান্ডার আহসান উল্লাহ কাজল, হুজি তোতা, হুজি আবু জানদালসহ কয়েকজন জঙ্গি নেতা জড়িত।