নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান ‘ধৈর্যের বাঁধ আছে’ উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, এমন কিছু কথা বলবেন না যাতে মানুষের ধৈর্য কমে যায়। ধৈর্য শক্তি ভেঙে গেলে কিন্তু পরে সামাল দিতে পারবেন না। লাগাম দেন মুখে। রাজনীতি করেন ভালো, কিন্তু শান্তি রাখেন। ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি কাউরে একটা ফুলের টোকা দেইনাই।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বাদ জুমা সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে এম ডব্লিউ কলেজে আদমজী নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমপ্লেক্স এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মরহুম আলহাজ্ব হুমায়ুন কবিরের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শামীম ওসমান আরও বলেন, মরহুম হুমায়ুন কবির ভাইয়ের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিলো। আমার প্রথম নির্বাচনে তিনি আমার পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন এবং নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। আপনারা সবাই তার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করবেন।
আমার আরেক ছোট ভাই আলী হোসেন আলা চলে গেছেন। ডিএনডির বিভিন্ন সমস্যা ও আমাকে জানাতো। আজ সে দুনিয়াতে নেই। আপনারা আমার ছোট ভাইটার জন্যও দোয়া করবেন।
তিনি বলেন এখন ডিএনডির পানি কমে গেছে। অনেকে সুযোগ পেয়ে খারাপ কথা বলছেন। এক সময়ে ডিএনডির মধ্যে বাঁধ নির্মাণ করে যারা মাছ চাষ করেছেন তারা আজ ডিএনডি নিয়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করছেন। ডিএনডির সমস্যা সমাধানে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমি খুব কষ্ট পেলাম। এ কাজটা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। যদি এ কাজটি নিয়ে খারাপ কথা বলা হয় তাহলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অপমান করা হয়। আশা করি, আপনারা আর এ ধরনের ভিত্তিহীন কথা বলবেন না।
কামীম ওসমান বলেন, অনেকে বড় বড় কথা বলেন কষ্ট লাগে। বড় বড় কথা ও অশ্লীল কথা বলা বন্ধ করেন। এতদিন কে বিএনপি করতো, আওয়ামী লীগ করতো ব্যাপার ছিল না। আমরা সবাই মিলেমিশে ছিলাম।
কিছু লোক ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য ফতুল্লাকে সিটি করপোরেশন করতে চাচ্ছে। গিয়ে দেখেন ফতুল্লায় কত কোটি টাকার কাজ হয়েছে। সুতরাং এমন কিছু করবেন না ভালো হবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডঃ খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান, থানা যুবলীগের আহবায়ক ও নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ¦ আনোয়ার ইসলাম, সাংসদ পুত্র অয়ন ওসমান, নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, মরহুম আলহাজ্ব হুমায়ুন কবিরের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হাজী তানভীর কবির মুন্না, তৌহিদ কবির রাজু, তসলিম কবির সিমান্তসহ নানা শ্রেনি-পেশার মানুষ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।