হিরো আলম কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে গিয়েছিলেন: ইসি আলমগীর

শেয়ার করুণ

১২৪টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। একটি কেন্দ্রে সমস্যা হলে সেটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাই বলতে হয়। স্বতন্ত্র ঐ প্রার্থী (হিরো আলম) লোকজন নিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলেন। তখন পুলিশ বাধা দিয়েছে। বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রাস্তায় যারা হিরো আলমকে মারধর করেছেন, তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলপকালে তিনি একথা বলেন। ঢাকা-১৯ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম) ওপর হামলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।ৎ

এর আগে দিনভর শান্তিপূর্ণ ভোট চললেও বিকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলার শিকার হন হিরো আলম। বিকাল ৩টার পর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে তাকে মারতে মারতে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে সকালেই ভোটকেন্দ্র থেকে নিজের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হিরো আলম। প্রায় একই অভিযোগ তুলে দিনের প্রথম ভাগেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারেকুল ইসলাম ভূঁঞা। তার অভিযোগ, কেন্দ্র তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি এবং প্রতিটা কেন্দ্রে জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল দেওয়া হচ্ছে।

যদিও দিন শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে। আনুমানিক ১২-১৩% ভোট পড়েছে বলে ধারণা।’

উল্লেখ্য, গত মে মাসে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফারুকের (আকবর খান পাঠান) মৃত্যুর পর শূন্য ঘোষণা করা হয় ঢাকা-১৭ আসন। এরপর নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন চলে আসায় এই আসনে নির্বাচিত হয়ে মাত্র কয়েক মাসের জন্য সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন বিজয়ী। তিন লাখ ২৫ হাজার ভোটারের এই সংসদীয় আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২৪টি। আর উপনির্বাচনে লড়ছেন আটজন প্রার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুণ