নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বেড়াতে গিয়ে এক তরুণী (১৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ সময় তার স্বামীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৯ জুন) কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (১৮ জুন) এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। গত বুধবার বেলা ১১টায় মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নুরনবীর ছেলে জাহাঙ্গীর প্রকাশ ওরফে ভাগিনা জাহাঙ্গীর (৩৫), একরামুল হকের ছেলে রিয়াদ (৩০) ও আলাউদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন মিস্টার (২৮)।
মামলা সূত্র থেকে জানা যায়, গত বুধবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল যোগে নবদম্পতি কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় বেড়াতে যান। পরে বেলা ১১টায় বাগানের পাশে ছবি তোলার সময় আসামিরা দেশিয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে বাগানের ভেতর নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর ২০ মার্চ আমরা আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করি। বুধবার সকালে ঘুরতে গেলে আসামিরা আমাকে বেঁধে রেখে আমার স্ত্রীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে। এ সময় আমি ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেলের চাবি দিয়েও স্ত্রীকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান জানান, এজাহার পেয়ে রোববার দুপুরে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, রোববার বিকেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।