স্কুল থেকে চুল-দাড়ি কাটতে চাপ দেয়ায় ছাত্রের আত্মহত্যা

শেয়ার করুণ

বরিশালের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র বাসার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ওই বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ স্কুল থেকে চুল ও দাড়ি কাটার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।

নিহত স্কুলছাত্র মনি শংকর মুন নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা মনিষ কুমার রায় বাকেরগঞ্জের কাকরধা দলিলউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। মা পরিবার পরিকল্পনা কর্মী।

মুনের বাবা জানিয়েছেন, গতকাল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে তার মাকে জানায় শিক্ষকরা চুল-দাড়ি কাটতে বলেছে। তা না হলে, পরীক্ষার হলে বসতে দেবে না। এরপর তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে চুল-দাড়ি কেটে বাসায় ফেরে। সন্ধ্যায় গৃহশিক্ষক এসে পড়িয়ে যাওয়ার পর সে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ কক্ষের দরজা আটকে দেয়। তাকে ডাকাডাকি করা হলে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা হয়তো কোনো ব্যাপারে রাগ করে ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু আজ সকালেও দরজা না খোলায় মুনের এক বন্ধুকে ডেকে এনে ঘরে দেয়ালের ওপর ফাঁক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। এরপর সে দেখতে পান পড়ার টেবিলের পাশে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ছেলের মরদেহ ঝুলছে।

তাদের দুই মেয়ে রয়েছে। তবে কোনো ছেলেসন্তান না থাকায় এক বছর বয়সের সময় মুনকে পটুয়াখালীর বাউফলের একটি এলাকা থেকে দত্তক আনেন। সেই থেকে দুই মেয়ের সঙ্গে নিজ সন্তানের মতো বড় হয়ে ওঠে মুন। তাকে কখনও বুঝতে দেওয়া হয়নি, সে তাদের দত্তক সন্তান।

গেল ২০ নভেম্বর কলেজের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় এইচএসসি প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার উচ্চতর গণিতে অকৃতকার্য করার অভিযোগ এনে মালিহা মারিয়া মৌলী নামের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

নিউজটি শেয়ার করুণ