নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। এর আগে একই দিন ভোরে তাকে উপজেলার মানশ্রী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার মানশ্রী গ্রামের মো. ফেরদৌস খানের ছেলে আল-ফারাবি খান আসিফ (১৯)। ভুক্তভোগী ছাত্রী চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসিফ প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করে কুপ্রস্তাব দিত। এ বিষয়ে আসিফের পরিবারের কাছে নালিশ দিলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত ১২ জুন ভুক্তভোগী ছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে ও তা মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এদিকে আসিফ বুধবার (৫ জুলাই) ওই নগ্ন ভিডিও ভুয়া ফেসবুক ও টিকটক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী ছাত্রী শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করে। পরে শনিবার ভোরে আসিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আসিফের। সম্পর্কের জেরেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। তবে এ ঘটনা জানার পর ছেলের পরিবার বিয়ে করাতে রাজি হলেও মেয়ের পরিবার রাজি হয়নি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে হয়তো আসিফ ওই ঘটনা ঘটাতে পারে। কিন্তু এ ঘটনার পরপর মীমাংসা করার জন্য একাধিকবার গ্রাম্য সালিস হয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মামলার পরপরই শনিবার ভোরে আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
