নারায়ণগঞ্জে চর সৈয়দপুর আলামিন নগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ পৃথক দুটি মামলা করেছে। সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে মামলা দুটি করা হয়। যার একটি বন্দর থানায়। অপরটি নৌ আদালতে।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নৌ নিরাপত্তা উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে মামলা দুটি করেছে। মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ থানায় একটি মামলা করেছে। মামলার পর লঞ্চে ধাক্কা দেওয়া কার্গো জাহাজের আটক মাস্টার-ড্রাইভার, গ্রিজার ইঞ্জিনিয়ারসহ আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ডুবে যাওয়া এম এল আফসার উদ্দিন নামের লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারের পর লঞ্চের ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। এ কারণে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। এর আগে রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে রাতের মতো তল্লাশি অভিযান স্থগিত রাখেন উদ্ধারকর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভেতরে কোনও লাশ পাওয়া যায়নি। তবে ভাসমান অবস্থায় দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট লাশের সংখ্যা ৮জন। তিনি আরও জানান, উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ডসহ একাধিক সংস্থা অংশ নেয়
প্রসঙ্গত: নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সগীঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমএল আফসার উদ্দিন নামে একটি লঞ্চকে নারায়ণগঞ্জে চর সৈয়দপুর আলামিন নগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে রোববার (২০ মার্চ) বেলা ২টা ২০ মিনিটে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি রূপসী-৯ কার্গো জাহাজ ঠেলে প্রায় ২০০ ফুট দুরে নিয়ে ডুবিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ঘাতক লঞ্চটি আটক করেছে নৌ-পুলিশ। ঘটনা তদন্তে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও নৌমন্ত্রনায়ল পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
