সুপার সাইক্লোন মোখা আঘাত হানতে পারে যে দিন

শেয়ার করুণ

বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার শঙ্কা তৈরি হয়েছে তা ইতোমধ্যে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। এটি পরবর্তীতে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। সচিবালয়ে বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

এনামুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকালের মধ্যে আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। ঘুর্ণিঝড়টি কক্সবাজারের টেকনাফ আঘাত হানতে পারে সুপার সাইক্লোন হিসাবে।

‘ঘুর্ণিঝড়টি এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূল থেকে এখনো গড়ে প্রায় এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার নাগাদ উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেবে এবং কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমারের ওপর দিয়ে আঘাত হানবে। আঘাতের সময় এটির গতিবেগ ধারণা করা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একটি জেলা কক্সবাজারই আক্রান্ত হওয়ার বলা হয়েছে পূর্বাভাসে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের নিম্ন এলাকা।

সম্ভাব্য ঘুর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘৫, ৬, ৭ বিপদ সংকেত জারি হলে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হবে। সিপিপিকে সতর্ক বার্তা প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সব নির্দেশনা দিয়েছি চট্টগ্রামের যতগুলো উপকূলীয় উপজেলা আছে সেগুলোর আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার জন্য বলেছি।

‘আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাওয়ার জন্য ১৪ টন ড্রাই কেক ও টোস্ট বিস্কুট পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামী কালের মধ্যে আরও ২০০ টন চাল চলে যাবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আমরা সবদিকে থেকে প্রস্তুত আছি। সফলভাবেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে পারব। ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস পাওয়ার পর আমরা যে প্রস্তুত নিয়েছে, তাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি শূন্যতে নিয়ে আসতে পারব।’

পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলে রোহিঙ্গাদের বাঁশ, টিন, পলিথিন দিয়ে তৈরি করা বাসস্থান ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা আছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুণ