বন্দরে কিশোর গ্যাং এর সন্ত্রাসী হামলায় দিনমজুর পিতা/পুত্রসহ ৫ জন আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামী কিশোর গ্যাং এর লিডার শেখ সিফাত ওরফে কাটা সিফাতকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বরং উল্টো মামলার বাদীকে হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে কাটা সিফাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগি পাভেল খান। সেখানে সে লিখেছে ‘এলাকাতে নাই বলে মনে করিছ না ভয় পাইছি, শীঘ্রই আসতাছি, ভয় পেয়ে আবার চইল্লা যাইছ না’।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বন্দরে বিশেষ পেশার এক লোকের শেল্টারে তার ভাতিজা কাটা সিফাত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসী কাটা সিফাত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী বন্দরে শাহী মসজিদ, সালেনগর, বাড়ইপাড়া এলাকাসহ এর আশেপাশের এলাকায় গুলোতে একক আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠে। উল্লেখিত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের কাটা সিফাত বাহিনী সাধারন লোকজনদের সাথে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ অহেতুক মারামারি ও সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বন্দর বাড়ইপাড়া এলাকার দিনমজুর ইউনুছ মিয়ার ছেলে রহিত (২১) র্দীঘ দিন ধরে শহরের একটি হোসিয়ারী কারখানায় কাজ করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় গত সোমবার (১২ সেপ্টম্বর) রাত ৮টায় হোসিয়ারী শ্রমিক রহিত কাজ শেষে বাড়ী ফেরার সময় বন্দর থানার ছালেহনগরস্থ বাংলাদেশ পাড়া জনৈক বাবুল মিয়ার পুকুর পাড়ের সামনে আসলে ওই সময় কিশোর গ্যাং এর লিডার কাটা সিফাতের নেতৃত্বে মাদকব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন পিংকী, আল আমিন, মাদক ব্যবসায়ী কালা জুম্মান, ফয়সাল, রাব্বি, ইয়াছিন শাহ, আলম, বাবু শিকদার, পাভেল খান ও আশরাফুল ওরফে কালুসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন কিশোর সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রæতার জের ধরে হোশিয়ারী শ্রমিক রহিত এর উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা রহিতকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্রদিয়ে বেদম ভাবে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। ওই সময় আহতের চিৎকার শুনে হোসিয়ারী শ্রমিকের পিতা ইউনুস, ছোট ছেলে রোহান, কাশেম ও জাহিদুল আহতকে বাঁচাতেএগিয়ে আসলে হামলাকারিরা তাদের কেউকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।