শিক্ষকদের কথা অমান্য করে নদীতে নেমে ক্যামব্রিয়ানের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

শেয়ার করুণ

না.গঞ্জের ক্যমব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর শোক কাটেনি এখনও। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে পিকনিকের আনন্দ পরিনত হয়েছে বিষাদে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননামতে স্কুল শিক্ষকদের নির্দেশ অমান্য করে নদীতে নামার ফলেই এই দূর্ঘটনা।

এলাকাবাসী ও পিকনিকে যাওয়া অভিভাবকদের ভাষ্যমতে, চাঁদপুর মোহনপুরে লঞ্চটি ভেড়ার পরেই একে একে তীঁরে নামতে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও সঙ্গে থাকা অভিভাবেকরা। পিকনিকে যাওয়া দশম শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থী ছিলেন একা। শিক্ষকেরা বার বার নিষেধ করার পরেও একদল শিক্ষার্থী নেমে পড়েন নদীতে। ওই সময়ে শিক্ষকেরা নদীর তীঁরে গিয়ে বার বার অনুরোধের পরেও সায় দেয়নি নদীতে হাবুডুবু খাওয়া কয়েকজন। শিক্ষকদের নিষেধ না শুনে শেষতক পরিণতি হলো কষ্টদায়ক, সকলের কান্নার আর পরিবারের অপূরণীয় এক ক্ষতির। পানিতে ডুবে মারা গেল একজন। আরেকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

২৩ ফেব্রুয়ারী ওই দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ সুষ্মিত সাহার (১৪) সন্ধানে ২৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ছিল তল্লাশী। কিন্তু পাওয়া যায়নি তাঁকে। তার বাড়ি ফতুল্লার ভূইগড়ে রূপায়ান টাউনে।

এদিকে নিহত শাহরিয়ার ইশতিয়াক শামস (১৬) এর মরদেহ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন সংলগ্ন আফাজনগরে আনা হয়। সেকান থেকে নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়াতে। তাঁরা উভয়েই নারায়ণগঞ্জ ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।

মোহনপুর নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক বাবুল বালা বলেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের টিম জরুরি প্রয়োজনে একটু অন্যত্র যায়। পরে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করবে।

ঘটনাস্থলে থাকা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সকালে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রিন্স কামাল-১ লঞ্চে করে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে আসে। লঞ্চ থেকে নামার পরপরেই একাদশ ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দৌড়ে নদীতে গোসল করতে নামে। এর মাঝে প্রধান শিক্ষক এসে সবাইকে উঠিয়ে দিলেও পুনরায় নদীতে নামে তাঁরা। বেলা ১টার দিকে হঠাৎ হাবুডুবু খাওয়া অবস্থায় শামসকে উদ্ধার করে সহপাঠীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ছ্যাংগারচর বাজারের একটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। একই সময়ে গোসল করতে নামা সুষ্মিত সাহা নিখোঁজ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুণ