রোগীকে রক্ত দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ২ তরুণী

শেয়ার করুণ

সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায় দুই তরুণীকে হোটেলে আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার নগরীর জালালাবাদ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পৃথক মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, একজন রোগীকে রক্ত দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে ধর্ষণ করা হয়। দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয় হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, সিলেট নগরীর পশ্চিম পাঠানটুলা এলাকার রানা আহমদ ওরফে শিপলু (৩৫), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মোহাইমিন রহমান ওরফে রাহি (৩৩), ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নয়াবাজারের বাসিন্দা জুবেল (৩১), সুনামগঞ্জের হরিনাপাটি গ্রামের নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) ও সুজন (৩৫) এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার তানজিনা আক্তার ওরফে তানিয়া (২৫)।

জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক বান্ধবী ফোন করে বালাগঞ্জের এক তরুণীকে রক্ত দেওয়ার জন্য তাদের ভুক্তভোগীদের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কৌশলে ভুক্তভোগী তরুণীদের হাসপাতালের পাশে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে আলাদা কক্ষে বসিয়ে রাখেন। তখন কয়েকজন যুবক তাদের আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগীদের মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে গত ২৪ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে ভুক্তভোগীদের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার স্বজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে গত সোমবার মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। মামলা দায়ের করার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগী দুই তরুণীর মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুণ