খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর আহমদ আলী কাসেমী বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দেশের স্বার্থে আমরা মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের দিকে না গিয়ে জনগণের দিকে যান, মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। তাহলে জনগণই আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’
শুক্রবার খেলাফত মজলিসের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর টাউনহল ময়দানে ৮ দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের কোনো পরিকল্পনা এ সরকারের নেই। ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাত্র ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাহলে ৯৩ শতাংশ মানুষ ভোট দেননি। যদি জনপ্রিয়তা থাকত, তাহলে আওয়ামী লীগের লোক গেল কোথায়, সেদিন কি তারা বেড়াতে গিয়েছিলেন? এই আওয়ামী লীগকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চান না। জনগণ মনে করেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে খুশি হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সেই সময় যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয় তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। ২০১৪ সালে নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫১ জন নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৮ তে আগের রাতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। ওই দুই নির্বাচনে জনগণ অংশ নেননি। জনগণের দাবি, সামনে যাতে যেনতেন কোনো নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা না হয়। এই নির্বাচন কমিশন যদি জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে তাহলে জনগণ সেই তফসিল প্রতিহত করতে বাধ্য হবে। কারণ এই কমিশনের অধীনে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই নির্বাচনকালীন সরকারের সঙ্গে সঙ্গে এ নির্বাচন কমিশনেরও সংস্কার করতে হবে।
শুক্রবারের সমাবেশে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইল থেকে দলটির নেতাকর্মীরা অংশ নেন। খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে বিভাগীয় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ জোনের সহকারী পরিচালক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস মাওলানা ছালাউদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহকারী জোন পরচিালক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আহাদ, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি মুফতী আবু তাহের তালুকদার, নেত্রকোনা জেলা সভাপতি, মুফতী মাওলানা নুরুল হক প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নগরীতে একটি মিছিল বের করা হয়।