নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় লঞ্চ চালকের অবহেলাকেই দুষছেন লঞ্চ থেকে ঝাপিয়ে বেচে আসা যাত্রীরা। ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী শেখ জাকির একটি জাতীয় গণমাধ্যমকে এক বর্ননায় তুলে ধরেন ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতা।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লঞ্চটি কিছুদূর যাওয়ার পর বড় কার্গো জাহাজটিকে দ্রুত গতিতে লঞ্চের পিছনে আসতে দেখা যায়। যখন খুব কাছাকাছি এসে পড়ে তখন যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দূরে থাকা অবস্থাতেও কার্গো জাহাজটি লঞ্চটিকে হর্ন দেয়নি। লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দিয়ে তারপর হর্ণ বাজিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে কার্গোটি।

তিনি বলেন, ‘কার্গো জাহাজটি ঠিক ২-৩ হাত দূরে ছিল। তখন আমরা কয়েকজন যাত্রী মিলে লঞ্চচালকের কাছে যাই। তাকে বলি কার্গো জাহাজটি লঞ্চের কাছাকাছি এসে পড়েছে। কিন্তু সে ধমক দিয়ে বলে কিছুই হবে না। তারপর আমরা লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিই। আর ২-৩ মিনিট লঞ্চে অবস্থান করলে আমরা লঞ্চের সঙ্গে পানিতে তলিয়ে যেতাম। ৩০-৪০ সেকেন্ড ধরে কার্গোটি লঞ্চটিকে ঠেলে নিয়ে যায়।
‘চালককে জানানোর পর আমরা ৩জন নদীতে ঝাপ দেই। আরও ২-৩ মিনিট লঞ্চে অবস্থান করলে তাহলে আমরাও ডুবে যেতাম। আমাদের সাথে ২০-২৫ জন যাত্রী নদীতে ঝাপ দেয়। তাছাড়া কয়েকজনকে অন্য লঞ্চ এসেও উদ্ধার করে।’ তিনি যোগ করেন।
উল্লেখ্য, আজ দুপুর আনুমানিক ২ টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া মুন্সীগঞ্জ গামী এমভি আফসারউদ্দিন নামক লঞ্চকে রূপসী-৯ নামের একটি মালবাহী কার্গো ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে ফেলে। আনুমানিক অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল লঞ্চটিতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী ২০-২৫ জন সাতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও নিখোজ রয়েছে প্রায় ২০ জন। এ পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী টিম।
