মহান মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়েও নানা দূর্ণীতি হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে ভূয়া সনদধারি ব্যক্তিরা মুক্তিযোদ্ধা সেজে সমাজে বিভিন্ন পর্যায়ে স্থান দখল করে আছে। আবার অনেকে মুক্তিযুদ্ধ করেও বিভিন্ন সেক্টরে লুটপাট ও দখলবাজি করে মুক্তিযুদ্ধের বদনাম করছে। তাই বাংলাদেশের পরবর্তী সুন্দর একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে এসব দুর্নীতি রোধ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশকে আমরা পরিবর্তন করতে না পারলেও নারায়ণগঞ্জকে পরিবর্তন করা আমাদের সবার দায়িত্ব। এজন্য সমাজের ভালো মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।আমার কথা বাদ দেন আমি তো রাজনীতিবিদ কিন্তু, আমর দু-পাশে যারা আছেন ডিসি সাহেব তো রাজনীতি করেন না, এসপি সাহেবতো রাজনীতি করেন না। এখন এনারা যদি প্রশ্ন করেন, যেই স্বাধীন বাংলাদেশে আমার ভাই রক্ত দিলো সেই দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা কথা বলে কেমনে। তখন কি জবাব দিবো আমরা? সো উই হেভ টু প্রোগ্রেস। আমাদের সব সেক্টরে প্রোগ্রেস করতে হবে।
শুক্রবার ( ৫ মার্চ ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় ওসমানি পৌর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস এর মধুমতি জোনের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, দেশের জাতীয় ও গ্রাম বাংলার মানুষের জনপ্রিয় খেলা কাবাডির মান উন্নয়নের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা প্রয়োজন। এজন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নারায়ণগঞ্জে সে অনুযায়ি কাজ চলছে।
তানভীর আহমেদ আরও বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ এক বছর খেলাধূলা বন্ধ থাকার পর আবার নতুন করে টূর্ণামেন্টের আয়োজন করায় উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়েছে খেলোয়াড়দের মধ্যে। খেলাধূলার মান বাড়াতে হলে প্রতিটি জেলায় স্টেডিয়াম নির্মান করতে হবে। পাশাপাশি সকল জেলায় নিয়মিত টূর্ণামেন্টের আয়োজনসহ খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রাখতে হবে। এর ফলে দেশে আন্তর্জাতিকমানের খেলোয়াড় তৈরি হবে এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টূর্ণামেন্টগুলোতে ভালো ফলাফল অর্জন করবে।

আটটি জোনে বিভক্ত করা ৯ম বাংলাদেশ গেমস এর “মধুমতি জোন” নামে নারায়ণগঞ্জ জোনের অধিনে আটটি জেলার আটটি দল অংশগ্রহণ করছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ি, মুন্সিগঞ্জ ও গাজিপুর জেলার পাঁচটি পুরুষ দল ও তিনটি নারী দল টূর্ণামেন্টে খেলবে। উদ্বোধনি দিনে গোপালগঞ্জ জেলা দল ঢাকা জেলা দলকে পরাজিত করে টূর্ণামেন্টে জয়ের শুভসূচনা করে।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত তিনদিন ব্যাপি এই কাবাডি টূর্ণামেন্টের মধুমতি জোনের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে আগামি ৮ মার্চ।
সূত্রঃ লাইভ নারায়ণগঞ্জ
