মাসদাইরে ছিনতাইকারীদের টর্চার সেল আবিষ্কার, আটক ৩

শেয়ার করুণ

এ যেন হলিউড কিংবা বলিউডের কোন সিনেমার দৃশ্য। বন্ধ একটি রুমে নির্যাতনের জন্য সাজানো রয়েছে দেশীয় অস্ত্র। ভোরে কিংবা গভীর রাতে চক্রটি ওঁৎপেতে থাকে সড়কের আশপাশেই। রিকশা বা অটো রিকশায় কোনো যাত্রীকে দেখলেই কৌশলে থামিয়ে অস্ত্র ঠেকায়। সাথে থাকা মোবাইলফোন কিংবা টাকা যা আছে লুটে নেয়। তবে কদাচিৎ কিছু না পেলে অপহরণ করে নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইরের ছোট কবরস্থান এলাকার একটি বাসায়। সেই বাসায় অপহরণকারীকে আটকে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। মুখে স্ক্রচটেপ লাগিয়ে মারধরের সেই ভিডিও পাঠানো হয় অপহৃত ব্যক্তির পরিবার কিংবা স্বজনদের কাছে।

ভয়াবহ নির্যাতনের সেই ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে মুক্তিপণ বাবদ হাতিয়ে নেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। টাকা না পাঠানো পর্যন্ত চলে নির্যাতন। হোয়াটসআপ বা ইমুতে সেটা সরাসরি দেখানো হয় বিপরীতে থাকা স্বজনদের। হুমকি দেয়া হয় পুলিশকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলবে।

এমনই এক ছিনতাইয়ের শিকার হন ডিবির এক কনস্টেবল। সেই সূত্র ধরে ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবির একটি টিম। ওই সময়ে গ্রেফতারকৃত মূল হোতার মোবাইলে মিলেছে নির্যাতনের সেইসব ভয়াবহ কিছু চিত্র।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ‘ক’ জোনে কর্মরত তুষার মোল্লা নামের এক কনস্টেবলকে যাত্রাপথে আটকিয়ে মোবাইলফোন ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে ফতুল্লার মাসদাইর কবরস্থানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারা করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো মাসদাইর জামালের গ্যারেজের এলাকার মো: ফারুকের ছেলে মো: পারভেজ (২৫), মাসদাইর ছোট কবরস্থান এলাকার মৃত সেকান্দরের ছেলে রাজু (২৬) ও পশ্চিম মাসদাইর পাকাপুল এলাকার জামালের ছেলে রাকিব হোসেন বিজয় (২১)। তাদের নামে মঙ্গলবার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুণ