সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০দফা বাস্তবায়ন ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে নগরীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি। গণমিছিল পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় নগরীর মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর থেকে এই গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণমিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাষাড়া চত্বরে এসে সমাপ্ত হয়।
আজাদ আরও বলেন, গত ১০ই ডিসেম্বর আপনারা দেখেছেন সাধারণ মানুষের কি ভোগান্তি হয়েছে। সেই ভোগান্তি থেকে থেকে মানুষ মুক্তি চায়।
দেশের মানুষের মুক্তি, কারারুদ্ধ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাখো কোটি মানুষের স্পন্দন দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ও এদেশের হারানো গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার পুনঃ উদ্ধারের জন্য আমরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আমরা রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই সরকারের পতন ঘটানো হবে ইনশাল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় গণমিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. জয়নুল আবেদীন, বিশেষ অতিথি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ- সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল ইসলাম মান্নান, প্রধান বক্তা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, বিশেষ বক্তা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।