ভিপি রাজিব প্রার্থীতা ছাড়লেন, পেলেন সিনিয়র নেতাদের ভালোবাসা

শেয়ার করুণ

অবশেষে কোন রকম বিতর্ক ছাড়াই শেষ হলো নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিল৷
কাউন্সিলের তফসিল ঘোষনার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির আহবায়ক, সাবেক এমপি আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ফারুক হাসান খোকন এবং একই কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। তৃনমূল কর্মীদের প্রত্যাশা ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে সাধারণ সম্পাদক। কাউন্সিলের একদিন আগে বিএনএফ এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে রাজিবকে শোকজ করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এতে আবারও শঙ্কা তৈরি হয় কাউন্সিল ঘিরে। কাউন্সিলের আগের রাতে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন রাজিব। বিএনপি কর্মীদের মাঝে শঙ্কা তৈরী হয় চাপে পড়ে সরে দাড়িয়েছেন রাজিব। হয়তো আসবেন না কাউন্সিলে।

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে অনুষ্ঠানে আগেভাগেই কর্মীদের নিয়ে হাজির রাজীব। স্বাভাবিকভাবেই পালন করলেন নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব। একসময় রাজিবের ডাক পড়লো বক্তৃতা দিতে। তোলরাম কলেজের সাবেক ভিপির বক্তৃতা শোনার অপেক্ষায় গোটা কাউন্সিলের শ্রোতারা। সাবলীলভাবে শুরু করলেন তিনি, দিলেন ঐক্যের ডাক। বললেন এখন সময় ঐক্যের কোন গ্রুপিং এর না। সবাই করতালির মাধ্যমে গ্রহন করে নিল রাজিবের কথা কে।

রাজিবের ভাষন শুনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজের ভাষনে সাধুবাদ জানালেন। তারেক রহমানের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলনও ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজীবের ভাষনের। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা আর দলীয় ঐক্যের স্বার্থে রাজীবের ত্যাগকে বললেন অনুকরনীয় উদাহরণ। সবশেষে জেলা বিএনপির নবনির্মিত সভাপতি গিয়াসউদ্দিনও একই পথে হাটলেন। করলেন রাজিবের ভূয়সী প্রশংসা।

রাজিব নিজেও নিজের ফেসবুক পেজে এই অর্জনকে নিজের সেরা অর্জন বলে স্বীকৃতি দিলেন। পদের লড়াইয়ে না থেকেও জয় করলেন সবার মন। এ যেন বিনা রক্তাপাতে যুদ্ধ জয়। ত্যাগ করেই জিতলেন সকলের মন, সিক্ত হলেন সিনিয়র নেতাদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদে। স্থাপন করলেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ত্যাগের এক উজ্বল দৃষ্টান্ত।

নিউজটি শেয়ার করুণ