বন্দরে যৌতুকের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের দায়ে ননদ ও তার জামাতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় বিচারের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২৪ মার্চ (বুধবার) বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২৩ মার্চ দিবাগত রাতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মোসাঃ জাহিদা বেগমের সরকারি ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ এ কল দেয়ার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল বন্দর উপজেলাধীন জিওধরা এলাকায় গিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃতরা হলেন, বন্দর উপজেলাধীন চৌধুরী বাড়ি(কলাগাছিয়া) এলাকার নুরুল হকের মেয়ে সোনিয়া আক্তার ও তার স্বামী আজিজুল হকের ছেলে সোহেল।

স্বামী জর্ডান থেকে ফিরে এলে জাহিদা তার শশুরবাড়ি বন্দরে জিওধরা এলাকায় চলে আসে। এরপরে দেড়মাস জনি ফের জর্ডানে চলে যাওয়ার পর থেকেই তার শশুর বাড়ির লোকেরা যৌতুকের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এতে তিনি অস্বীকৃতি জানালে নানা সময় তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত।
এব্যাপারে ওই গৃহবধূ জানান, ৭ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের জর্ডান প্রবাসী বন্দরের জিওধরা এলাকার মোঃ জনির সাথে বিয়ে হয় তার।
এরই জের ধরে ২৩ মার্চ রাত অনুমান ১:৩০ টায় উল্লেখিত বিবাদীরা গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় বিভিন্ন গালাগালি করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। এসময় তিনি উপায়ান্তর না দেখে সরকারি ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ ফোন দিলে বন্দর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং সোহেল ও সোনিয়াকে থানায় নিয়ে আসে।এই বিষয়ে বন্দর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে যার নং-২৩(৩)২১ইং।
সূত্রঃ লাইভ নারায়ণগঞ্জ
