জেলার ফতুল্লার আলীগঞ্জে প্রকাশ্য দিবালোকে বাসা থেকে টেনে হিচড়ে শারমিন আক্তার নামে এক নারীকে অপহরন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে ফতুল্লা থানার আলীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় অপহৃত শারমিনের বড় বোন শাহিনুর বাদী হয়ে ঘটনার পরপর ফতুল্লা মডেল থানায় লেবার সর্দার বাছেদ সর্দারসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অপহরনের সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত শাহিনুর জানান, বাছেদ সর্দার এর আগেও দুইটি বিয়ে করেছে। তার ৪টি সন্তান ও ২টি স্ত্রী রয়েছে। যা আমাদের কাছে গোপন করা হয়েছিল। আমার বোন তাকে স্বেচ্ছায় তালাক প্রদান করেছে আর এই কারনেই বাছেদ সর্দার লোকজন নিয়ে এসে আমার বোনকে নামাজরত অবস্থায় টেনে হিচরে বিবস্ত্র করে তুলে নিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী নারীর বাবা একজন রিকশাচালক। সেই দরিদ্রতার সুযোগ নিয়েই বাছেদ সর্দার তাকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করে বলেও জানান শাহিনুর।
ভুক্তভোগী নারীর মা জানান, আমার মেয়েকে মারতে মারতে তুলে নিয়ে গেছে। সে এখন কি অবস্থায় আছে, কোথায় আছে আমরা জানিনা। বেঁচেই আছে নাকি মারা গেছে তাও জানিনা।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে জানতে পেরেছি অপহৃত নারী শারমীন এবং অভিযুক্ত বাছেদ সর্দার একাধিক বিয়ে করেছে। বাছেদ সর্দারের তৃতীয় স্ত্রী হচ্ছে শারমীন। তবে শারমীনের পরিবারের দাবী ২-৩ দিন পূর্বে বাছেদ সর্দারকে শারমীন ডিভোর্স দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, আরও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি শারমিন আক্তারের ২য় স্বামী বাছেদ সর্দার। বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী শারমীনকে উদ্ধারসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। শারমীনকে উদ্ধার করার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে তিনি জানান।