ফতুল্লায় চিকিৎসার নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টায় এক ভন্ড কবিরাজকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
আজ বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে গৃহবধূ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে স্বামী সন্তানকে ঘরের বাহিরে বের করে দিয়ে চিকিৎসার নামে ওই ঘটনা ঘটায়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) নূরে আজম।
আটককৃত ভন্ড কবিরাজের নাম শাহীন হোসেন সুমন (৪০)। সে মুন্সিগঞ্জ জেলার মুক্তারপুর কাঠপট্রি এলাকার মৃত.মোশারফ হোসেনের ছেলে। ফতুল্লার পাগলা সূর্যমুখী সিনেমা হল এলাকায় থেকে কবিরাজীর নামে প্রতারনা করতেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গৃহবধূর স্বামী দিনমজুরের কাজ করেন। তাদের ৫ বছর বয়সী কন্যা শিশু জন্ডিস হয়েছে মনে হওয়ায় চিকিৎসার জন্য শাহীন হোসেন সুমনের কাছে নিয়ে যায়। তখন শাহীন হোসেন সুমন তাদের বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলেন। এতে গৃহবধূ ও তার স্বামী বাসায় চলে যায়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে গৃহবধূর বাসায় এসে বলেন বাচ্চার চিকিৎসা দরকার নেই তার মায়ের চিকিৎসা করলেই হবে। একথা বলে গৃহবধূর স্বামী ও সন্তানকে বাহিরে বের করে দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় শাহীন হোসেন সুমন। এসময় গৃহবধূ চিৎকার করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ভন্ড কবিরাজ শাহীন হোসেন সুমনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) নূরে আজম বলেন, আমরা কবিরাজকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। মামলা প্রেক্ষিতে আজকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে জেলা হাজতে আছে।