প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) একনেকে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর কদমরসুল সেতুর সংশোধনী প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সুনজর রয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সর্বশেষ তিনি কদমরসুল সেতুর জন্য একনেকে সংশোধনী প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ৫ নম্বর খেয়াঘাট দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর বহুল আকাঙ্খিত কদমরসুল সেতু নির্মাণ ১ম সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে গত ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর একনেকের সভায় ৫৯০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কদমরসুল সেতু অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর পাঁচ নম্বর ঘাট থেকে বন্দরের একরামপুর হয়ে ১৩৮৫ মিটার দীর্ঘ হবে এই সেতু। যার মূল ব্রীজ ৩০০ মিটার ও এপ্রোচ রোড হবে ৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। কদমরসূল সেতুর বিশেষত্ব হবে এ সেতুর একটি স্প্যান থেকে আরেকটির দূরত্ব হবে ২০০ মিটার।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর গুদারাঘাটের নিকট শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর কদমরসুল ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প নানা জটিলতার কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। একাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আপত্তির কারণে বদলাতে হয়েছে নকশাও।
গত সোমবার বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, কুমুদিনী, রেলওয়ে, খাদ্য অধিদপ্তরের আপত্তির কারণে কদমরসুল সেতুর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে সব ধরনের জটিলতা পেরিয়ে সংশোধনী প্রকল্প একনেকে আবার অনুমোদনের জন্য দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই প্রকল্পটি টেন্ডারে যাবে। তবে এক্ষেত্রে প্রকল্পের খরচ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা হয়েছে।