সেঁজুতি জালালাবাদের মাস্টারপাড়ার কৃষক সোহরাব হোসেন পলাশের দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে। সে কলারোয়া গার্লস পাইলট হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। পুলিশ জানায়, রোববার (২৭ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি না ফেরায় সেঁজুতির বাবা রাতেই কলারোয়া থানায় নিখোঁজ উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সাতক্ষীরা কলারোয়ার জালালাবাদ ইউনিয়নের মাস্টারপাড়ার মাঠে আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের ড্রেনে তার মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা সোহরাব হোসেন পলাশ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী কলেজছাত্র রহমান ও তার সঙ্গীরা পরিকল্পিতভাবে সেঁজুতিকে হত্যা করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য মশিউর রহমান জানান, পাঁচ মাস আগে একই গ্রামের কলেজছাত্র আব্দুর রহমানের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সালিশ হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে অঙ্গীকারনামা নিয়ে ছেলে-মেয়েকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কলারোয়া থানার ওসি নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে অন্যত্র শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই ড্রেনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। ওসি জানান, অচিরেই মূল ঘাতকসহ সহযোগীদের গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।