নারায়নগঞ্জের জেলা প্রশাসককে ফোন দেয়ার পর সরকার নির্ধারিত ন্যায্য হাসিল দিতে পেরেছেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারী, সিনিয়র সাংবাদিক শরীফউদ্দীন আহমেদ সবুজ। আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য পশু কিনার পর হাট কর্তৃপক্ষ ৫% এর স্থলে ৬% হারে হাসিল দাবি করেন। পরে এই অনিয়মের ব্যাপারে তিনি নারায়ণগঞ্জ এর জেলা প্রশাসককে ফোনে অবহিত করলে হাট কর্তৃপক্ষ সরকার নির্ধারিত হারে হাসিল আদায় করে।
নিজের ফেসবুকে তুলে ধরা ঘটনাটি হুবহু তুলে ধরা হল:
“গতকাল সোমবার (২৬ জুন) সদর উপজেলার জেলা পরিষদের সৈয়দপুর পাঠাননগর হাট থেকে গরু কিনলাম সন্ধ্যায়। হাসিল দিতে গিয়ে দেখি তারা ৬% হারে হাসিল দাবি করছে। আমি তাদের জানালাম সরকার নির্ধারিত সর্ব্বোচ্চ হাসিল ৫%। এর বেশি নেয়া যাবে না। যদি বেশি আদায়ের কোনো নির্দেশনা থাকে দেখান। তারা সেসব দেখাতে রাজি না।
বললাম বেশি নিলে আমি প্রশাসনকে জানাবো। তারা কেউই তোয়াক্কা করলো না। এলাকার পরিচিত একজন কানে কানে এসে বললো, ভাই এ হাটের আসল ইজারাদার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর। তাকে ফোন দেন। হাসিল কমে যাবে। আরেকজন সাংবাদিক ৪% দিয়ে গেছে। আপনি ফোন দিলে হাসিল নিবে না।
বিনা হাসিলে না, ন্যায্য হাসিলে গরু কিনতে চাই।
তাই জেলা প্রশাসককে ফোনে ঘটনা জানালাম। জেলা প্রশাসক জানালেন, এ বিষয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করছে। আপনি সুনির্দিষ্ট তথ্য দিন। দিলাম।
এরপর যদিও হাটে আমি কোনো ম্যাজিষ্ট্রেটকে আসতে দেখিনি কিন্তু ঘটনা যেটা ঘটলো সেটা হচ্ছে, হাটের ইজারাদার আহসান হাবিব পলাশ পাশ থেকে এসে ৫% হারেই আমার কাছ থেকে হাসিল আদায়ের নির্দেশ দিলেন। পরে বের হয়ে গরু ট্রাকে তুলতে সহায়তা করে বললেন, ভাই গরু ট্রাকে তুলে দিছি।
আমি নাহয় জেলা প্রশাসককে ফোন দিয়ে রেহাই পেলাম। কিন্তু সবার কি এ সুযোগ আছে? কেন নিয়ম অনুযায়ী হাসিল নেয়া হবে না?
এখানে একটি কথা বলে রাখি, ৫% হাসিল নেয়াও অনেক বেশি। আমি জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে ২০২১ সালে গরু কিনেছি। সেখানে গরু প্রতি হাসিল মাত্র ৫০০ টাকা। কোনো পারসেন্টেজ না। সে হাটেও খাম, খুটি গাড়ে, ত্রিপল টানানো হয়, সেখানেও হাটের ইজারাদারের লাভ হয়। তাহলে শহরে কেন সেটা মুল্যের ৫% হবে? তাহলে ইজারাদারের লাভের পরিমাণ কত দাড়ায় একটি হাট থেকে? সেটিতেও পেট ভরে না, অতিরিক্ত হাসিল নিয়ে পেটে ঢুকাতে হবে?
বি: দ্র: কেউ অতিরিক্ত হাসিল দিয়ে থাকলে তার রশিদের ছবি ও ফোন নাম্বার আমাকে দেয়ার অনুরোধ রইলো। নিউজ করার জন্য।”