জেলার আড়াইহাজারে স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে ৭ দিন ঘরের ভেতর জিম্মি করে রাখার অভিযোগে স্ত্রী, শাশুরিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ মে) তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে ভিকটিম ফারুক থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ মামলা নেয়। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- স্ত্রী মনিরা, তার বাবা মনু মিয়া, মা জোসনা বেগম ও ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর।
এর আগে, গত ২৭ মার্চ রাতে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সিঙ্গারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে ফারুকের (৩৫) সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরা আক্তারের। এরপর ফারুক মালয়েশিয়া চলে যান। তাদের সংসারে ১৩ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে মনিরা আক্তার একই গ্রামের আব্দুলের ছেলে ছানাউল্লার সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে তাকে বিয়ে করেন। গত ঈদুল আজহার পর ফারুক দেশে ফিরে মনিরাকে নিজের সংসারে ফিরিয়ে আনেন। পরে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পরামর্শে ফারুক নিজের টাকা খরচ করে শ্বশুরবাড়িতে বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করতে থাকেন।
তবে পরকীয়া প্রেমিকের কাছ থেকে নিয়ে এসে সংসার করার ক্ষোভে গত ২৭ মার্চ রাতে স্ত্রী মনিরা আক্তার ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কর্তন করে পরিবারের লোকজন নিয়ে ফারুককে ৭ দিন ধরে ঘরে জিম্মি করে রাখেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব জানান, থানায় মামলা হয়েছে। চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।