জেলার আড়াইহাজারে সরকারি হাসপাতালে রোগি দেখতে দেরি করাকে কেন্দ্র করে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ও সহযোগির ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এই ঘটনা ঘটে। এসময় মোটর সাইকেল যোগে ২০/২৫ জন নেতাকর্মী হাসপাতালে মহড়া দিয়ে প্রবেশ করলে মুহুর্তের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতালে। রোগী ও স্বজনরা ভয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বিকাল তিনটার দিকে সরকারি সফর আলী কলেজের ভিপি মাহদী হাসান রিফাত দূর্ঘটনার শিকার একটি শিশুকে নিয়ে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম ও সহযোগি টুটুল মিয়া অন্য একটি রোগিকে চিকিৎসা সেবায় ব্যস্ত। মাহাদী তার রোগিকে দেখার জন্য বললে তারা চিকিৎসারত রোগির সেবা শেষ করে দেখার কথা বললে এ নিতে তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। পরে ভিপি মাহদী ফোন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্রুত হাসপাতালে আসতে বললে মুহুর্তের মধ্যে ২০/২৫ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেল যোগের মহড়া দিয়ে নিয়ে যায় হাসপাতালে প্রবেশ করে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম ও সহযোগি টুটুল মিয়ার ওপর হামলা চালিয়ে বেদম মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিজেদের রক্ষার্তে হাসপাতালের টয়লেটে আশ্রয় নেয় তারা। পরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আমিন তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকদের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, তারা কথা বলেই আমাদের মারতে শুরু করে।
এ বিষয়ে ডা. আশরাফুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হননি।
সরকারি সফর আলী কলেজের ভিপি মাহদী হাসান রিফাত বলেন, হাসপাতালের লোকজন আমাকে মারধর করেছে।
প্রসঙ্গত: এর আগে গত সপ্তাহে এসিল্যান্ড অফিসে হামলা করে ভিপি মাহদী। তাছাড়া ও সাবেক ভিপি রাজু চাঁদার দাবীতে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে হামলা করে সাবরেজিস্ট্রির সহকারী হাফিজের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এই সময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সরকারী জায়গা নিয়ে তার চাচার উপর হামলা করে। হঠাৎ ছাত্রলীগ বোপোরোয়া হয়ে উঠার কারণে সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। যেন আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনের বাহিরে।