না.গঞ্জে ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাতে একজন আহত, ছিনতাইকারীকে গণধোলাই

শেয়ার করুণ

জেলার ফতুল্লার তল্লায় ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় লিটন (৩৮) নামক এক ছিনতাইকারী কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এসময় পুলিশ ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তি ও ছিনতাইকারী দুজনকেই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে ছিনতাইকারী লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ জানিয়েছে।


বুধবার দুপুরে ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তি রবিউল ইসলাম চিকিৎসা শেষে ফতুল্লা মডেল থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। ছিনতাইকারী লিটন  ফতুল্লার তল্লা এলাকার শাহী মসজিদ রোডের আব্দুলের ছেলে।


আহত রবিউল জানায়, সোমবার ভোর রাত সাড়ে চারটার দিকে জামালপুর থেকে বাসে করে আসে। তাকে জেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হলে সে অটোরিক্সায় করে তল্লা সবুজবাগস্থ  ভাড়াটিয়া বাসায় যাচ্ছিল।

এ সময় তার সাথে স্ত্রী ও দুমাস বয়সী সন্তান ছিলো। তল্লা নাঈম টেক্স গার্মেন্টস সংলগ্ন শুভ স্টোর মোড়ে পৌছামাত্র ছিনতাইকারীরা অটোরিক্সার গতিরোধ করে তাকে ছুরির ভয় দেখিয়ে ২৫০০ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তাী স্ত্রীর কানে ও গলায় হাত দিলে সে বাধা প্রদান করলে তাকে ছুরিকাঘাত করে।

এ সময় তারা চিৎকার করলে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদের কে উদ্ধার সহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করে গণপিটুনি দুয়ে পুলিশে দেয়।


মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাহাদাৎ হোসেন জানান, গত সোমবার ভোরে জামালপুর জেলার গ্রামের বাড়ি থেকে এসে রবিউল ইসলাম তার স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে ফতুল্লার তল্লা এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় যাচ্ছিলেন।

এরমধ্যে বাসার কাছা কাছি আসামাত্র দুইজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে ছুরির ভয় দেখিয়ে পকেট থেকে ২৫শ টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তখন রবিউল চিৎকার করলে তার হাতে ও কপালে ছুরিকাঘাত করা হয়। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে একজনকে ধরে গণধোলাই দেয় আরেকজন পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুণ