না.গঞ্জে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ

শেয়ার করুণ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পরপরেই পুলিশ ছাত্রদল ও বিএনপির ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের পলখান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, দলীয় বৈঠকের প্রস্তুতি নেয়ার সময় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, কথা কাটাকাটির জের ধরেই ছাত্রদলের সাথে মারামারি শুরু হয়।

এই ঘটনায় দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ ও ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।

এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আবু মাসুম, যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন, বিএনপি কর্মী কাউসার এবং মনসুর।

মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের ৭ দিনের রিমা- চেয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামীরা ঘটনার দিন দলীয় মিছিল করে রূপগঞ্জের পলখান বাজার এলাকায় আসে। এসময় তারা অতর্কিতভাবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণ করে এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাসেলের মাথা ফাটিয়ে দেয়। এছাড়া ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীদেরকেও পিটিয়ে আহত করে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতারা।

তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে দাবি করেন জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সুলতান। তিনি বলেন, আমরা আগামী ২২ আগস্টে একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি সভা আয়োজন করতে পলখান বাজারে অবস্থান করছিলাম। এসময় রাসেলের নেতৃত্বে অতর্কিত আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় উভয় গ্রুপেরই ৬/৭ জন করে আহত হয়। প্রথমবার আমরা প্রতিহত করলে আবারও আমাদের ঘেরাও করে মারধর করে ছাত্রলীগ। হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গেলে সেখান থেকে আমাদের ৪ নেতাকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।

তবে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারির সূত্রপাত ঘটেছিল বলে জানান উপজেলা ছাত্রলীগের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক আশিকুল ইসলাম খোকন। তিনি বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি কথা কাটাকাটি থেকে ছাত্রদল ছাত্রলীগের মধ্যে মারামারি লাগে। স্থানীয় নেতারা প্রথমে মধ্যস্থতা করে বিষয়টি সুরাহা করেছিল। কিন্তু ছাত্রদলের নেতারা একটি কাজ খারাপ করেছে। তারা হাসপাতালে গিয়ে রাসেলকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে।’

জেলা ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘মূলত ছাত্রলীগের এক ছোট ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত ছিল। সেখানে ছাত্রদল, ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীরাই গিয়েছিল। দেখা সাক্ষাতের এক পর্যায়ে তারা একসাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। পাশ থেকে দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কোন এক নেতা ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে কটু বাক্য ছুড়ে দিয়ে বলে ‘*লের ছবি তুলতে আইসে’। এই ঘটনার পর ছাত্রলীগ, ছাত্রদল মিলেই ওই ছেলেটাকে চড় থাপ্পড় দেয়। পরে সেই ছেলে ছাত্রলীগের আরও নেতাকর্মী ডেকে এনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মারধর করে।’

সূত্রঃ নিউজ নারায়ণগঞ্জ

নিউজটি শেয়ার করুণ