নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার সদস্যের দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক সদস্য মারা গেছেন।
গতকাল রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন।
তিনি জানান, শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ডহরগা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদেরকে ওই দিনই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। নিহত জাহিদের (৪০) শরীরের ২৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে।
দগ্ধ অন্যরা হলেন, জাহিদের স্ত্রী রুমা বেগম (২৭), মেয়ে লাবনী আক্তার জাহিদা (১১) ও ছেলে ইয়াসিন (৮)।
দগ্ধ রুমা বেগম জানান, পাঁচতলা বাড়িটির নিচ তলাতে ভাড়া থাকেন তারা। তিনি গৃহিণী আর তার স্বামী জাহিদ একটি কারখানায় চাকরি করতেন। ঘটনার দিন সকাল ৬টায় তিনি রান্না করার জন্য ওঠেন। রান্নাঘরে দিয়াশলাই জ্বালাতেই চুলা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে রুমে থাকা ফ্রিজ, টেলিভিশনেও বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। তখন তার শরীরে আগুন ধরে যায়।
এ ছাড়া রুমে ঘুমিয়ে থাকা দুই সন্তান ও স্বামীর শরীরও ঝলসে যায়। তখন দৌড়ে সবাই বাসার বাইরে বের হন।
তাদের ডাক ও চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করান।
চিকিৎসকরা জানান, রুমার শরীরের ২৩ শতাংশ, লাবনীর ২২ ও ইয়াসিনের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
জাহিদ হাসানের বাড়ি ফরিদপুর নগরকান্দা উপজেলায়। বাবার নাম নুরুল হোসাইন। তার মেয়ে লাবনী স্থানীয় একটি স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে ও ছেলে ইয়াসিন ২য় শ্রেণিতে পড়ে।