ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জে মৌচাক এলাকাসহ তিনটি স্পটে বিএনপি’র চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে মশাল মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণসহ ঘটিয়েছে বিএনপি নেতা কর্মীরা। ওই সময় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে মিছিল করে তারা।
আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এবং মাদানী নগর এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এই বিক্ষোভ মশাল মিছিলটি দেখা গেছে।
এছাড়া একই সময়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের হক প্লাজা ও সদর উপজেলা ফতুল্লার কমর আলী স্কুলের পাশেই মশাল মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিএনপি নেতা কর্মীরা। আকস্মিকএ ঘটনায় আশেপাশের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতা কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সিদ্ধিরগঞ্জ এ মশাল মিছিল বের করে। ওই সময় মিছিলকারীরা স্লোগান দেয় গিয়াস ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা আছি একসাথে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান পিপিএম বার জানান, সন্ধ্যা ছয়টার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায়।
এ সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে বিপুল সংখ্যক টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। এতে এলাকার বাসের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা পুলিশ খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অগ্নিসংযোগ কৃত টায়ার সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক শেখ দীপু জানান, কমর আলী স্কুলের সামনে বিএনপি নেতা কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, তিনটি স্পটে ককটেল বিস্ফোরণ বিএনপি নেতা কর্মীরা ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা ফুটেজ ও বিভিন্ন ছবি দেখে সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
তবে জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন জানান, আমরা ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ সফল করা নিয়ে ব্যস্ত আছি। দেশের ৮টি বিভাগে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সমাবেশ হয়েছে। আশাকরি ঢাকার মহাসমাবেশও শান্তিপূর্নভাবে হবে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাছাড়া মশাল মিছিল করার কোন সিদ্ধান্ত বা কর্মসূচি আমাদের ছিল না, এবং ১০ ডিসেম্বরের আগে হবেও না। আমরা মনে করি যারা এই ধরনের কাজ করেছে তারা উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে করেছে। গত কয়েকদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় মিথ্যা বানোয়াট গল্প সাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের খোঁজ করছে। গ্রেপ্তার এড়াতে নেতাকর্মীরা এখন বাড়ি ঘড় ছাড়া।
সূত্রঃ নারায়ণগঞ্জ টাইমস