ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে একাই আড়াইহাজার উপজেলা থেকে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিতে বুধবার (১২ জুলাই) ভোর থেকে খণ্ড খণ্ডভাবে আড়াইহাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় নটর ডেম কলেজের সামনে সমবেত হন। এরপর সেখান থেকে নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিশাল শো-ডাউন করে মহাসমাবেশে যোগ দেন।
এদিকে ঢাকায় যাওয়ার পথে শনিরআখড়া এলাকায় হামলায় আহত হয়েছেন আড়াইহাজারের ফতেহপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নাসির। তিনি গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির মহাসমাবেশকে সফল করতে আগে থেকেই আড়াইহাজার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কৌশলে ঢাকা যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এর মধ্যে কেউ কেউ বাসে, ভাড়া প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় যান। অনেক নেতাকর্মী আবার নিজেকে আড়াল করতে ভেঙে ভেঙে হেঁটে শনিরআখড়া গিয়ে সেখান থেকে বাসে ঢাকায় প্রবেশ করেন।
আড়াইহাজার বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফতেহপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নাসির কিছু নেতাকর্মীসহ একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিতে একটি ট্রাকে যাচ্ছিলেন আড়াইহাজারের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর ভগ্নিপতি তালেব মোল্লা, তার ছেলে ফয়সাল, ছাত্রলীগ নেতা রাজীবসহ অন্য নেতাকর্মীরা। পরে তাদের বহনকারী ট্রাকটি বিএনপি নেতা নাসিরের মাইক্রোবাসের কাছাকাছি এলে তারা তাকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে মারধর করেন।
বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে আড়াইহাজার থেকেই প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী ভিন্ন উপায়ে নটর ডেম কলেজের সামনে এসে সমবেত হন। পরে তারা আমার নেতৃত্বে সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে যাওয়ার পথে ফতেহপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নাসিরকে আওয়ামী নেতাকর্মীরা মারধর করেছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এভাবে হামলা-মামলা করে এই সরকার আর বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।