বাবার পথেই হাটছে খোরশেদ পুত্র নকীব এ যেন সেই চিরচেনা প্রবাদেরই এক বাস্তব উদাহরন। ‘বাপ কা বেটা, সিপাহী কা ঘোড়া’। এই প্রবাদ বাক্যের সাথে পরিচত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হলেও ইট- পাথরের এই সভ্যতায় এই প্রবাদের উদাহরন দেয়া বড়ই দুরুহ।
এই প্রবাদ বাক্যের এক উজ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কাউন্সিলর পুত্র নকীব। করোনা দুর্যোগের প্রথম পর্যায়ের সময় বাবা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে ছোট-খাটো কাজে সাহায্য করলেও এখন করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে বাবার পাশাপাশি নকীবও নিজেকে সম্পৃক্ত করেছে মৃতদেহ দাফনে। সম্প্রতি ৫ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জের মিজিমিজি এলাকায় একজন মারা গেলে টিম খোরশেদের সাথে দাফন কাজে অংশগ্রহন করে কাউন্সিলর খোরশেদের একমাত্র পুত্র নকীব খন্দকার।

এস এস সি পরিক্ষার্থী নকীবের এই মানবিক এবং সাহসী পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। কিশোর নকীবের এই দৃঢ় মনোবল আর সাহস আমাদের কিশোর-তরুনদের জন্য এক উজ্বল দৃষ্টান্ত। করোনা হয়তো একদিন চিরতরে বিদায় নিবে আমাদের সমাজ থেকে। ভয়, আতংক আর সামাজিক দুরত্বের অভিশাপ থেকে হয়তো মুক্তি মিলবে।

সবাই হয়তো ধীরে ধীরে ভুলে যাবে করোনাকালীন দুর্বিষহ জীবনের কথা। কিন্ত টিম খোরশেদ সহ যে সকল স্বেচ্ছাসেবীরা নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে এগিয়ে এসেছে মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা হয়ে থাকবে ইতিহাসে অমর, অক্ষয়। নারায়নগঞ্জ বুলেটিনের পক্ষ থেকে টিম খোরশেদের এই কিশোর সদস্যকে রইলো প্রানঢালা শুভেচ্ছা আর অনেক অনেক শুভকামনা।
