মা গার্মেন্টসে চাকরি করে। বাসায় রেখে যায় ছোট্ট কণ্যা শিশুকে। প্রতিবেশীদের সাথে সারাদিন থাকে তাদের সাথেই দিন পার করে শিশুটি। একই বাসায় ভাড়া থাকে তহুরুল ইসলাম (২৫) এক যুবক। বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে নিজের কক্ষে নিয়ে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতো তহুরুল। একদিন শিশুটিকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সেই যুবক, শিশুটি বেশী ছোট হওয়ায় যৌনাঙ্গ বদলে মুখে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ধর্ষণ করে তাকে।
গত ৯ জুলাই ফতুল্লায় দেলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরদির সকালে শিশুটি তার মায়ের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তহুরুল ইসলাম বাসা থেকে বের হয়ে আত্মগোপনে থাকতেন।
এ ঘটনায় বুধবার (১৪ জুলাই) শিশুটির মা বাদী হয়ে তহুরুল ইসলাম কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত তহুরুল ইসলামকে শহরের কালির বাজার এলাকা থেকে আটক করে।
আটককৃত তহুরুল ইসলাম চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার রাধানগর বড় ডাবপুরের আব্দুল মান্নানের ছেলেও ফতুল্লা থানার দেলপাড়া এসবি গার্মেন্টস সংলগ্ন মাসুমের টিনসেড বাড়ীর ৩নং রুমের ভাড়াটিয়া।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস.এম শামীম জানান, একই বাসায় থাকার সুবাদে শিশুকে বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে তহুরুল ইসলাম তার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতো। গত শুক্রবার ৯জুলাই তহুরুল শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়, শিশুটি ছোট হওয়ায় তার মুখে অনুপ্রবেশ করিয়ে ধর্ষন করে। আমরা শিশুটি কাছে থেকে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি ঘটনার সত্যতা।
তিনি আরও বলেন, শিশুকে মেডিক্যাল পরিক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শিশুকে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হবে। অভিযুক্ত তহুরুল ইসলামকে আটক করে থানা হেফাজতে রেখেছি। তার বিরুদ্ধে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। আজকেই আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।