নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় অন্ত:সত্ত্বা নারীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী জেসমিন আকতার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় তিনজনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানিয়েছেন বাদী জেসমিন আকতার।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আমি জেসমিন আক্তার (২৫). জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৩৭৫৫২১১৭৬৪, স্বামী: ধ্রুব, সহ-পশ্চিম দেওভোগ, শেরে বাংলা গ্রীণ রোড, (ইয়াসিন মিয়ার বাড়ী), থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। এই মর্মে থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী ১। শহীদ (৬০), পিতা- মৃত রশিদ মিয়া, ২। মুসুম (৩৫), ৩। মাহাবুব (৩০). উভয় পিতা- শহীদ, সর্ব সাং- পশ্চিম দেওভোগ, শেরে বাংলা গ্রীন রোড, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ।
উক্ত বিবাদীগণ -আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় হয় বটে। এমতাবস্থায় বিবাদীরা দীর্ঘদিন হইতে বিভিন্ন ভাবে আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের জ্বালাতন করিয়া আসিতেছে। এ বিষয়ে আমার পিতা-মাতা কিংবা ভাই প্রতিবাদ করিলে বিবাদীরা দলবদ্ধ হইয়া আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতঃ বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রান নাশের হুমক্তি প্রদর্শণ করিয়া আসিতেছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ইংরেজী ১২/০৫/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমান- ০৪.০০ ঘটিকার সময় উক্ত বিবাদীগণ পুনরায় তুচ্ছ বিষয়াদীকে কেন্দ্র করিয়া তাহাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র-মন্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার উপরোক্ত ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগস্থ গ্রীন রোড এলাকার বাসায় আসিয়া আমাকে সহ আমার পিতা মাতা ও ছোট ভাই এবং ছোট বোন দেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতঃ একপর্যায় আমার বৃদ্ধা পিতা জহিরুল (৫৬) কে ১নং বিবাদী তাহাকে কাঠের ডাসা দ্বারা এলোপাতাড়ী পিটাইতে থাকে।
তখন আমার বৃদ্ধা মাতা আমেনা বেগম (৪৬) ও ছোট ভাই মোহাম্মদ হোসেন (২১) দ্বয় আমার পিতাকে বাঁচানোর জন্য আগাইয়া আসিলে ২ ও ৩নং বিবাদীদ্বয় তাহাদেরকেও এলোপাথারী কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও ছিলা জন্মগ্ন করে।
তখন তাহাদের আত্মচিৎকারে আমি আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাকেও মারধর করার জন্য উদ্যত হয় এবং একপর্যায় আমি ১০ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার পর ও ১নং বিবাদী আমার পেটে স্বজোরে লাথি মারিতে গেলে তাহা লক্ষভ্রষ্ট হইয়া আমার ডান পায়ের রানে লাগে এবং আমি নিচে লুটাইয়া পড়ি।
এরপর আমাদের আত্মচিৎকারে আশে-পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে উক্ত বিবাদীগণ আমাদেরকে জানে মারিয়া ফেলিবে নতুবা যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিবে মর্মে হুমকি প্রদর্শণ করিয়া চলিয়া যায়। উক্ত বিবাদীদের এহেন কর্মকান্ডের দরুন আমি কোন উপায়ন্তর না পাইয়া থানায় আসিরা অভিযোগ দায়ের করিলাম। অতএব, উপরোক্ত বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে মর্জি হয়।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক সিরাজ মাতবর জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলমান আছে।