দৃঢ়চেতা চন্দনকে নিরাশ করেনি আওয়ামী লীগ

শেয়ার করুণ

সময়ের নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীল। ২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় তিনি দুটি পা হারান। এর পর থেকেই তিনি কৃত্রিম পা লাগিয়ে স্ক্র্যাচে ভর করে চলাফেরা করছিলেন।

চন্দন শীল মূলত এমপি শামীম ওসমানের বন্ধু ও তার সঙ্গেরাজনীতি করে চলেছেন।১০ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়
জানা গেছে। দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন জেলার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে
সেখানে নারায়ণগঞ্জের স্থলে চন্দন শীলের নাম রয়েছে।
তিনি নিজেও মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, রাতে তাকে দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ জন্য তিনি দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


আসছে নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নারায়ণগঞ্জের ১০ জন আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ইতিমধ্যে ১০ জন আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তারা হলেন জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও সাবেক চেয়ারম্যান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, জেলা,
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল ওরফে ভিপি বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর
রহমান বাচ্চু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ব্যবসায়ী নেতা আরজু রহমান ভূঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট
খোকন সাহা, সহ সভাপতি চন্দন শীল, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের
সভাপতি মজিবর রহমান এবং নারী ও শিশু আদালতের পিপি রকিব উদ্দিন আহমেদ রাকিব।

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় জানা যাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন নৌকার প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীরা সবাই আশাবাদী।

নিউজটি শেয়ার করুণ