ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে তিন সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী সদর আদালতে বাদী হয়ে মামলা করেছেন প্রবাসী শরিফুলের মা সালেহা খাতুন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০ মে বাড়ি থেকে নগদ টাকা স্বর্ণের গহণাসহ প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে তার পুত্রবধূ। কুয়েত প্রবাসী শরিফুল চৌধুরী ২২ বছর আগে শৈলকূপা উপজেলার হারুনদিয়া গ্রামের মো. রুহুল আমীনের মেয়ে মাছুরা খাতুনকে বিয়ে করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামের মকবুল মোল্ল্যার ছেলে মশিয়ার রহমানের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের পরকীয়ার সর্ম্পক প্রবাসীর স্ত্রী মাসুরা খাতুনের। স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে শালিশ বিচার করেও লাভ হয়নি। শরিফুল চৌধুরী ও মাছুরা খাতুনের প্রায় ২২ বছরের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। গত ২০ মে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে রেব হয়ে যায় সে। সব জায়গায় খোজাঁখুজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তারা জানতে পারেন পরকীয়া প্রেমিক ঘোড়ামারা গ্রামের মশিয়ারের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। এ সময় সে স্বামীর পাঠানো নগদ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
বাদী সালেহা খাতুন অভিযোগ করেন, তার পুত্রবধূর কিছু আপত্তিকর ছবি মোবাইলে ধারণ করে বাদীর আত্মীয়-স্বজনের কাছে পাঠিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করছে। এছাড়াও তার প্রবাসী ছেলে দেশে আসলে গুলি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তিনি প্রশাসনের কাছে মশিয়ারের শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত মশিয়ার রহমান জানান, এখনো মাছুরা খাতুনের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। তার প্রবাসী স্বামী তাকে তালাক দিলে তিনি বিয়ে করবেন। তবে তার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি অন্যত্র পাঠিয়ে টাকা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এছাড়াও প্রবাসী শরিফুলকে কোনো প্রকার হুমকি দেওয়া হয়নি।