জাকির খানের মুক্তি চায় বিদ্রোহীরা

শেয়ার করুণ

সময়ের নারায়ণগঞ্জঃ সদ্য ঘোষিত
নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি
থেকে পদত্যাগকারী ও পদ বঞ্চিতরা নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনে প্রস্তুতিমূলক সভা
করেছে যেখানে কারাবন্দী সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের মুক্তি দাবী করা হয়েছে।

(৩ অক্টোবর)সোমবার বিকেলে শহরের জামান ক্লাব টাওয়ারের ফান রেস্টুরেন্টে মহানগর বিএনপি’র পদত্যাগী ও পদ বঞ্চিতদের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৬ অক্টোবর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। সভাতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবি জানিয়ে অনেকে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম মজনু বলেন, আমি ডেভিড সাঈদের অভিবক ছিলাম।

নারায়গঞ্জের রাজনীতিতে জাকির খানের প্রয়োজন আছে। কে কি ভাবলো তাকে আমার কিছু আসে যায় না।আমি এই সভায় থেকে জাকির খানের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা বলেন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বিগত মহানগর কমিটি থেকে জাকির খানের নাম লাল কালি কেটে দিয়েছে। সাখাওয়াত নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য জাকির খানের সমর্থকদের মাঝে এরকম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আসলে এই কথার কোন সত্যতা নেই। মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর খান সেন্টু বলেন,
জাকির খান আমাদের ছোট ভাই। সে কারাগারে মিথ্যা মামলায় আটক আছেন।

জাকির খানের অনেক আত্মীয় স্বজন আমাদের সাথে রয়েছেন। তার পরিবারের সাথেসবাই আমরা সম্পৃক্ত। আমরা মহানগর বিএনপি থেকে বরাবর জাকির খানের মুক্তি চেয়ে আসছি। এই বার্তাটি জাকির খানকে তার পরিবার পৌঁছে দিবেন।
সাবেক মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি হাজি নূর উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমান মুকুল, সাবেক মহানগর যুবদলের
সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সুলতান আহম্মেদ, হান্নান সরকার,অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানি প্রমুখ।

উল্লেখ্য ১৩ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে মহানগর বিএনপিরb৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। কমিটি ঘোষণার পরেই শুরু হয় বিদ্রোহ। ইতোমধ্যে কমিটির ১৫ জন সিনিয়র নেতা পদত্যাগ করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, কমিটিতে বাদ দেয়া হয়েছে রাজপথের পরিক্ষিত নেতাদের ও বিএনপিরbপ্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের।
গত ৩ সেপ্টেম্বর র‍্যাব-১১ এর নারায়ণগঞ্জের একটি বিশেষ অভিযানে ডিএমপি ঢাকার ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকা হতে বিদেশী পিস্তলসহ জাকির খানকে গ্রেফতার করাbহয়। গ্রেপ্তার হতে না হতেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে যেন নতুন আলোচনার জন্ম নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে জাকির খানের মুক্তির দাবীতে পোস্টার। বহু এলাকায় পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।

জাকির খানের নানান সমর্থক ও অনুসারীরা এসব পোষ্টার লাগিয়ে তার পুনরুত্থান যেন জানান দিচ্ছেন। আদালত পাড়া থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা সর্বত্র জাকির খানের পোষ্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে। নতুন রাজনীতিতে আসা অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে এতদিন পর গ্রেপ্তার হওয়া এই জাকির খান আসলে কে? কি বা তার পরিচয়?

নিউজটি শেয়ার করুণ