ছেলের প্রেমিকাকে দেখে বাড়িতে আগুন দিলো বাবা

শেয়ার করুণ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের দাবিতে ১০ দিন ধরে অনশনরত প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরদিকে প্রেমিক সুয়াইবুর রহমান সামুর পরিবারের সদস্যরা নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় স্থানীয়রা সামুর স্বজন মাইদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) সুন্দরগঞ্জ থানার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ওই দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি উপজেলার পূর্ব বেলকা গ্রামে ঘটেছে।

অভিযুক্ত প্রেমিক উপজেলার পূর্ব বেলকা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুয়াইবুর রহমান সামুর। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত।

জানা গেছে, তাদের প্রায় চার বছর প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ১০ নভেম্বর প্রেমিক সামু তার প্রেমিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে প্রেমিক সামুর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ১০ দিন ধরে প্রেমিকা তার প্রেমিক বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে, বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রেমিকের বাবা রফিকুল ইসলামকে দ্রুত বিয়ে সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া রোববার (২০ নভেম্বর) প্রেমিকের বাবা রফিকুল ইসলাম গাইবান্ধা আদালতে ৩০৯ ধারায় মামলা করেন। পরে আদালতের বিচারক অনশনরত প্রেমিকাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়। গত সোমবার (২১ নভেম্বর) রাতে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

এদিকে গত সোমবার রাতে প্রেমিক সামুর বাবা তার নিজ ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে রফিকুল ইসলামের স্বজন মাইদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তখন প্রেমিকের বাবা রফিকুল পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, প্রেমিকের বাবা রফিকুল ইসলাম গাইবান্ধা আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের আদেশে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আটক মাইদুল ইসলামকেও ১৫১ ধারায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুণ