রাত পোহালেই ঈদ। শেষ দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় বেচাবিক্রি ছিল কিছুটা বেশি। গত দুই দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও আজ বৃষ্টি হয়েছে অঝোর ধারায়। এই বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জেলার হাটগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দিনে বৃষ্টির ফাকে ফাকে বেচা বিক্রি কিছুটা হলেও সন্ধ্যায় ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে ফতুল্লা হাট।
বুধবার (২৮ জুন) রাতে ফতুল্লা হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে এখনো বিপুল সংখ্যক গরু রয়েছে। ছোট বড় মঝারি আকারের গরু রয়েছে অনেক। ক্রেতার চাহিদা কম থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই পড়তে থাকে পশুর দাম।
ব্যাপারীদের দাবি বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর তাদের লসের পরিমান বেশী। অনেকেই স্থানীয় ফার্ম থেকে গরু কিনে ফেলায় এবার হাটে ক্রেতার চাপ ছিল কম, সাথে বৈরী আবহাওয়ার জন্যও অনেকে হাটে আসেন নি গরু কিনতে।
হাটে গিয়ে দেখা যায় ছোট আকারের গরু ৫০-৬০ হাযার টাকায়, মাঝারী আকারের গরু ৭০-৯৫ হাযার টাকায় এবং বড় গরু ১ লাখ ২০ হাযার থেকে পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাপারীদের দাবী গতকালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ দাম কমে গেছে শেষ মুহুর্তে এসে।
এছাড়া ফতুল্লা হাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে ব্যাপারীদের। বৃষ্টির সময় পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা না রাখা, ব্যাপারীদের কাছে চড়া দামে বালু বিক্রি এবং বিক্রি না করতে চাইলেও মধ্যরাত অবধি ব্যাপারীদের হাটে থাকতে বাধ্য করেছে ফতুল্লা হাট কর্তৃপক্ষ।