চাষাঢ়ায় মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

শেয়ার করুণ

নগরীর চাষাঢ়ায় মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ভাংচুর চালিয়েছে ভুক্তভোগীর আত্মীয় স্বজন।

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত ৯টায় শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠে মর্ডাণ ডায়াগনিস্টক সেন্টারের নতুন ভবনে ওই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশুর বয়স ১১ বছর। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগচর এলাকাতে। সে একটি মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত। তার বাবা গার্মেন্ট কর্মী অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলের চর্ম রোগের সমস্যা ছিল। তাই গত সপ্তাহে ছেলেকে নিয়ে এসে এই হাসপাতালের ডাক্তার তানভীর আহম্মেদ সুমনকে দেখাই। তিনি আজকে আইসা বাচ্চার রক্ত ও আরো কিছু পরীক্ষা করতে বলেছিলো। তার কথা অনুযায়ী আমার বাচ্চাকে নিয়ে আসি রক্ত পরীক্ষার জন্য। কিন্তু বাচ্চা রক্তের স্যাম্পল টেস্ট দিয়ে বের হয়ে আমাদের কাছে, ভিতরে যা হয়েছে সেই বিষয়ে বলেন।

” শিশুটির মা বলেন, “আমার ছেলেকে যখন টেষ্টের জন্য রুমের ভেতরে নিছে, তখন আমরা কেউ সাথে যাই নাই। এর মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল। আমরা এর বিচার চাই।”

মর্ডানের নমুনা সংগ্রহকারক নাজমুল হোসেন ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন দাবী শিশুর বাবা ও মায়ের।

মর্ডাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার টিটু বলেন, “আসলে আমরা তো জানতাম না যে, নাজমুল এতো খারাপ লোক। ওকে ভালো জেনেই চাকরি দিয়েছিলাম। কিন্তু ওর জন্য আজকে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বদনাম হলো। এখন ভুক্তভোগীর পরিবার ওকে যে শাস্তি দিতে চাইবে, তাই হবে। এখানে আমাদের কোনো কথা নেই। আমরাও ওর বিচাঁর চাই।”

ঘটনার পরে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এস আই সফিক মর্ডান ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যান। তিনি বলেন, “আমি খবর পেয়ে একেবারে শেষের দিকে গিয়েছি। কিন্তু তখন কেউ ছিলনা। তবে শুনেছি ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বোঝাপড়া হয়েছে।”

সুত্র: দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ

নিউজটি শেয়ার করুণ