মৌমিতা বাসের অনিয়ন্ত্রিত বাস চালনায় আজ নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ইদানিং মৌমিতা বাসের স্টাফ বা চালক সবার দোষেই মৌমিতা বাস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নবিদ্ধ।
আজ তারই একটি নমুনা দেখা যায় নতুন মোড়কে।
সরাসরি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নারীর বক্তব্য এই যেঃ-
“আজকে সন্ধ্যায় আমি আর আমার বড় বোন নারায়গঞ্জের চাষাড়ায় সুগন্ধা রেস্তোরাঁ’র সামনে রিক্সাযোগে উত্তর চাষাড়া থেকে খাঁজা সুপার মার্কেটে যাচ্ছিলাম। রিক্সাটি খাঁজা সুপার মার্কেটের সামনে আইল্যান্ড বরাবর যেতেই ঢাকা থেকে আসা বেপরোয়া দ্রুতগামী মৌমিতা বাস সজোরে রিক্সায় ধাক্কা দেয়।

অতর্কিতে মৌমিতা বাসের এই ধাক্কায় আমরা রিক্সা উল্টে মাটিতে ছিটকে পড়ি ও আহত হই। আমার বোন হাতে বেশি ব্যাথা পায় আর আমি মাথায় ও বুকের পাজরের হাড়ে প্রচন্ডভাবে ব্যাথা পাই। তীব্র ব্যাথার কারণে আমার শ্বাস নিতে এখনো কষ্ট হচ্ছিল। আমি শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসামাত্র সেখান থেকে গিয়ে ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামাই । তখন ড্রাইভার আমাকে উল্টো জব্দ করে এবং বলে সব দোষ রিক্সার।
অথচ চাষাড়া একটি ব্যস্ততম জায়গা। কি মানুষে বা যানবাহনে।
এমন ব্যস্ত জায়গায় মৌমিতা’র বাসগুলো প্রায়ই গতি নিয়ন্ত্রণে হেয়ালি করে থাকে । ঢাকায় যাওয়ার পথে তারা ধীরগতিতে গেলেও আসার পথে তাদের গতি থাকে নিয়ন্ত্রণহীন। এই বাসগুলো নিয়ে মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। এপর্যন্ত অনেক গণমাধ্যমে ও খবরের কাগজে লেখালেখি ও ভিডিও পর্যন্ত প্রকাশ পেয়েছে।
মৌমিতা বাসের ড্রাইভার ও বাসের স্টাফদের মাদকসেবন সহ নানা কুকর্ম ও অসদাচরণ ইতোমধ্যে প্রকাশিত ।

মৌমিতা বাসের অরাজকতায় আমাদের ট্রাফিক পুলিশও নিরবতা পালন করে যাচ্ছে । প্রশাসন নিরব থাকলে আমাদের পাশে এসে কারা দাঁড়াবে? আজকে আমি মেয়ে হওয়ায় আমার পাশে এসে দাড়িয়েছে কয়েকজন ভাই, তারা আমাকে সমর্থন করেছে। অথচ পাশেই ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়েছিল। তারা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করলেও আইনি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বা আমাদের সহায়তা করেনি।
এমতাবস্থায় প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে, মৌমিতা বাসের কাছে কি আমাদের প্রশাসনও তুচ্ছ?”
