করোনার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মানুষের ধৈর্যহীনতাকে দায়ী করলেন তাসলিমা নাসরিন,গতকাল (২২ ডিসেম্বর ) তার ভারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক স্ট্যাটাসে বলেন,আর ক’টা দিন কেউ সবুর করতে পারছে না। চারদিকে করোনা ভাইরাস।লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে, তবু এক্ষুণি স্বাভাবিক জীবন চাই মানুষের। ভ্যাক্সিন এসে গেছে। আর ক’টা দিন পর ছবির শুটিং করো, তা না এক্ষুণি করতে হবে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, হয়তো ওই শুটিং থেকেই।
এখন শুনি আবীর চট্টোপাধ্যায়েরও কোভিড পজিটিভ। শুটিংএর জন্য ঘর বার হতে হয়েছিল তাঁকে। সেটাই হয়তো কাল হলো। মুশকিল হলো যারা রিকভার করছে তারা সবাই কিন্তু একেবারে সুস্থ শরীর ফিরে পাচ্ছে না। ওদিকে ব্রিটেনেও করোনারই আরেকটি ভয়াবহ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।

বিমান চলাচল বন্ধ হচ্ছে, ফের লক ডাউন দিচ্ছে। কী যে হচ্ছে চারদিকে। আসলে এই করোনা নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে ছিল। সবাই যদি শুধু মেনে চলতে পারতো নিয়মগুলো। সম্ভবত সবাই মিলে কিছু করার অভ্যেস নেই মানুষের। কত মানুষ তো করোনা ভাইরাসের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না, কেউ কেউ মনে করে এ মানুষের তৈরি। কেউ আবার বলে নাহ মানুষ এত কম মারা যাচ্ছে, এই ভাইরাসকে ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই।যে সুইডেন খেলা দেখিয়েছিল লক ডাউন না দিয়ে, মাস্ক না পরে।
এখন তো দিব্যি হার স্বীকার করেছে।দিনে দশ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ছোট্ট দেশটায়।ভালোয় ভালোয় ভ্যাক্সিন নিয়ে নিক সবাই। এ আবার দু’দফায় নিতে হবে। কিছু রিএকশানও হচ্ছে ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর। বড় কোনও রিএকশান না হলেই হলো। যে দুঃসময় নেমে এসেছিল এ বছরের শুরুতে, সেটি কিন্তু এখনও বিদেয় নেয়নি।কিছু বিপ্লবী বলছে তারা ভ্যাক্সিন নেবে না। পুবে পশ্চিমে সব খানেই এমন বিপ্লবীর দেখা মেলে।জীবনটা কচু পাতায় জল, অনেকেই ভুলে যাই।
