মহামারি করোনায় তছনছ বিশ্ব। স্বাস্থ সেবায় দারুন ধাক্কা। করোনায় আক্রান্তদের নিয়ে চিকিৎসা দুনিয়ায় ঘুম নেই। করোনা ভাইরাস থেকে নিস্তার পেতে টিকা আবিস্কার থেকে শুরু করে সকল চেষ্টাই অব্যহত। পৃথিবীর অনেক দেশেই টিকা উৎপাদন হয়েছে, প্রয়োগও শুরু। বাংলাদেশেও টিকা আমদানী করা হয়েগেছে ইতমধ্যে। এই ভারাসের আক্রান্তের শুরুটা চীন দেশে। এবার সেই চীন দেশেই জীবন রক্ষাকারী এই টিকা নিয়ে চলছে প্রতারণা। বেশ কয়েক মাস ধরেই মানুষের কাছে নকল টিকা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল চীনের একটি অসাধু চক্র। সম্প্রতি এ চক্রের ৮০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। খবর সিএনএনের।
জিয়াংসু, বেইজিং ও শানডং এলাকা থেকে অন্তত ৮০ জনকে গ্রেফতার করেছে চীনা পুলিশ। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার তথ্য। তাদের তথ্য মতে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ভুয়া ভ্যাকসিনের ব্যবসা করছিল চক্রটি। সম্প্রতি অভিযুক্তরা অন্তত তিন হাজার ডোজ নকল ভ্যাকসিন বানিয়েছিল। অভিযুক্তরা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইনজেক্টরগুলোতে স্যালাইন ভরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নামে বাজারজাত করত এবং সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করে বিপুল অর্থ আয় করেছে।
এদিকে চীনের জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
চীনে বর্তমানে দু’টি প্রতিষ্ঠানের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে- সিনোভ্যাক এবং সিনোফার্মের। চীনের বাইরে তুরস্কের মতো আরও কয়েকটি দেশেও চলছে এগুলোর ব্যবহার। দু’টি প্রতিষ্ঠানই দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন ৭৮ শতাংশের বেশি কার্যকর। অবশ্য ব্রাজিলে সিনোভ্যাকের শেষ ধাপের ট্রায়ালে কার্যকারিতা ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এরপর বেশ কিছু দেশ ভ্যাকসিনটিকে বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে, এমনকি ব্যবহার স্থগিত করেছে কেউ কেউ। তবে এখনো নিজেদের ভ্যাকসিন নিরাপদ বলেই মত দিয়েছে সিনোভ্যাক।
আর চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম জানিয়েছে, ট্রায়ালে তাদের ভ্যাকসিন ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
সূত্রঃ লাইভ নারায়ণগঞ্জ