নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ইস্পাহানি ঘাট (৫ নম্বর খেয়াঘাট) দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর কদম রসুল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। কদম রসুল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে সভার আহবান করা হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর একনেকের সভায় ৫৯০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কদম রসুল সেতু অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে মূল সেতুর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৪৩০ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য খরচে বাকি ১৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর পাঁচ নম্বর ঘাট থেকে বন্দরের একরামপুর হয়ে ১৩৮৫ মিটার দীর্ঘ হবে এই সেতু। যার মূল ব্রীজ ৩০০ মিটার ও এপ্রোচ রোড হবে ৩.৫০ কিলোমিটার।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ও প্রকল্পের দুই কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোরিয়ার ডিএম ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড ও ডংসাং ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেডের প্রতিনিধিরা। কদম রসূল সেতুর বিশেষত্ব হবে এ সেতুর একটি স্প্যান থেকে আরেকটির দূরত্ব হবে ২০০ মিটার। বাংলাদেশে এমন সেতু রয়েছে দুটি যার একটি কর্ণফুলী নদীতে এবং অন্যটি বরিশালে এখনো নির্মানাধীন। সব কিছু ঠিক থাকলে এই বছরের মার্চে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
সূত্রঃ লাইভ নারায়ণগঞ্জ