কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

শেয়ার করুণ

বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমশ উপকুলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখলেও চট্টগ্রামে কমিয়ে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শনিবার রাত ৮টার পরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও ঘণীভূত হয়েছে এবং রবিবার সকাল ৯টা থেকে ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূূল অতিক্রম করতে পারে।

চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশের সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বিমান চলাচল স্থগিত রয়েছে।

শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেছিলেন, বিকাল ৩টা থেকে ৬টার মধ্যে ঝড়টি ভূমি অতিক্রম করতে শুরু করবে বলে তাদের ধারণা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টার সময় ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজাার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম থেকে ৬০৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৬২৫ কিলোমিটার এবং পায়রা থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রে ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ একটানা সর্বোচ্চ গণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

শনিবার সকালে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

আট থেকে ১০ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের সংকেতকে মহাবিপদ সংকেত বলা হয়ে থাকে।

পড়বে।”

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শনিবার রাত থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করবে।

সাধারণত ঘূর্ণিঝড় আঘাত করার কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আগে মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়ে থাকে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

নিউজটি শেয়ার করুণ