এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে সরকারি পুকুর, জলাশয় ও কৃষি জমি ‘জোরপূর্বক দখল’ করে মার্কেট ও পার্ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে বেশ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এলাকাটিতে। স্থানীয়রা মনে করছেন, ‘যে কোন সময় মারাত্মক দাঙ্গা হাঙ্গামা হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান’। এ পরিস্থিতিতে চাওয়া হয়েছে প্রশাসনের সহযোগিতা।
বন্দরের মদনপুর লক্ষ্যারচর মধ্যপাড়া এলাকার নুরে ইমাম জুয়েল নামক এক ব্যক্তি গত শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এমন শঙ্কা প্রকাশ করে জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগীতা চেয়েছে।

পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মদনগঞ্জ ‘ম’ খন্ড মৌজার খাস পর্চা দাগ নং-১৯ ও ২০ এর মালিক বাংলাদেশ সরকার। সম্পত্তির পরিমান প্রায় ৫ একর। খাস সম্পত্তিটি পুকুর, জলাশয় ও কৃষি জমি। যে জমি গুলো এলাকার সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার করে আসছিলেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুকুর, জলাশয় ভরাট না করার জন্য আইন করেছে। অথচ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র (ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী) জোরপূর্বক খাস সম্পত্তি দখল করে মার্কেট ও পার্ক করতে চায়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ১০ থেকে ১৫ দিন যাবৎ প্রায় প্রতিদিন প্রতিবাদ করে আসছে। মেয়রের পালিত বাহিনী এলাকার নিরীহ জনগণকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছেন আর বলছেন ‘মেয়রের নির্দেশ আমরা সব কিছু করছি। এখানে মার্কেট ও পার্ক হবে’। এই বিষয়ে যে কোন সময় মারাত্মক দাঙ্গা হাঙ্গামা হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। এই অবস্থায় আপনার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে নুরে ইমাম জুয়েল লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুকুর, জলাশয় ভরাট না করার জন্য আইন করেছে দিয়েছে। অথচ, সেই আইন অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সরকারের মালিকানাধীন জমিতে দোকান ও পার্ক নির্মাণের চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় এলাকাতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দাঙ্গা হাঙ্গামা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বিদায় আমি পুলিশ সুপারের কাছে হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছি।’
প্রসঙ্গত, এর আগে মসজিদ ভেঙ্গে পার্ক করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জিউস পুকুর নামক দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের অভিযোগে বেশ কিছুদিন যাবত মানববন্ধন ও আন্দোলন করছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। এছাড়াও বিভিন্ন সময় স্কুল ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগও করা হয়েছে।
সূত্রঃ লাইভ নারায়ণগঞ্জ